ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত ভারতের নয়াদিল্লি। বায়ুদূষণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ আরও জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দিল্লির বায়ু দূষণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছানোর পর আগেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল প্রাইমারি স্কুল। আর এবার হাইস্কুলও বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। ক্লাস হবে অনলাইনে। কেবল দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস অফলাইনে হবে।
এছাড়া শহরে যানবাহন চলাচলে জারি করা হয়েছে নতুন নিয়ম। দূষণ কমাতে ডিজেল চালিত যানবাহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পাশাপাশি বাস ট্রাক শহরে প্রবেশে জারি করা হয়েছে কড়া নিয়মাবলি। এমনকি নির্মাণ কাজেও বিধি-নিষেঢ আরোপ করেছে রাজ্যটির সরকার। এখনই প্রয়োজনীয় নয়, এমন সব নির্মাণকাজ কিংবা কোনো ভাঙার কাজ আপাতত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং কিছু সরকারি পরিকাঠামো সংক্রান্ত নির্মাণকাজকে এই কড়াকড়ির আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে।
এদিকে সোমবার সকাল ৯টায় ভারতের এই জাতীয় রাজধানী শহরটিতে বায়ুর গুণগত মান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ছিল ৪৮৫। আর রোববার সন্ধ্যায় এই মান ছিল ৪৫৫। মূলত তাপমাত্রার পতনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দূষণ বাড়ছে দিল্লিতে।
গত এক সপ্তাহ ধরেই ‘ভয়াবহ’ বায়ু দূষণের শিকার দিল্লির বাসিন্দারা। দিন-দুপুরেও ঘন ধোঁয়াশায় ঢাকা থাকছে ভারতের এই রাজধানী শহর। ফলে কমেছে দৃশ্যমানতা। দেরিতে চলছে ট্রেন এবং ফ্লাইট। যাত্রীদের অতিরিক্ত সময় হাতে নিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরামর্শ দিচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলো।
উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (গ্র্যাপ-৩) চালু করেছে দিল্লি সরকার। এর মাধ্যমে আট দফা বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়েছে।
অন্যদিকে সংবাদমাধ্যম বলছে, দূষণের কারণে দিল্লি বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা কমে দাঁড়িয়েছে ১০০ মিটারে। এর জেরে বিপর্যস্ত ফ্লাইট চলাচল। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে প্রায় সব ফ্লাইটই আধঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা দেরিতে চলছে।