লেবাননে যে পেজারগুলো বিস্ফোরিত হয়ে ৯ জন নিহত ও ৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন, সেগুলো তাইওয়ানে বানানো হয়নি বলে দাবি করেছে তাইওয়ানভিত্তিক পেজার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গোল্ড অ্যাপোলো।
কোম্পানিটি জানায়, ব্র্যান্ড হিসেবে পেজারে কোম্পানির নাম স্টিকারে উল্লেখ থাকলেও তা ইউরোপে তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ‘গোল্ড অ্যাপোলো’ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতার বরাত দিয়ে এশিয়া ওয়ান এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, তাইওয়ানের পেজার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘গোল্ড অ্যাপোলো’র তৈরি লেবাননে সরবরাহ করা ৫ হাজার পেজার মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননে বিস্ফোরিত হয়। এতে ৯ জন নিহত ও ৩ হাজার আহত হয়। পেজারের গায়ে লাগানো স্টিকারে তাইওয়ানে কোম্পানি ‘গোল্ড অ্যাপোলো’র নাম উল্লেখ ছিল।
তবে বুধবার ‘গোল্ড অ্যাপোলো’র প্রতিষ্ঠাতা হসু চিং কুয়াং রয়টার্সকে বলেছেন, লেবাননে যে পেজারগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো মূলত তাদের তৈরি নয়। এগুলো ইউরোপে তৈরি করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হসু চিং কুয়াং বলেন, পেজারে তাদের কোম্পানির নাম উল্লেখ থাকলেও তা তাইওয়ানে বানানো হয়নি। ইউরোপের অন্য একটি কোম্পানি তৈরি করেছে।
তবে তিনি এটাও বলেন যে, পেজারগুলোর ব্র্যান্ড হিসেবে তাদের নাম উল্লেখ আছে। সে হিসেবে এর দায়দায়িত্ব তাদের ওপরও বর্তায়। এতে তারা খুব বিব্রতবোধ করছে।
পেজারগুলো ইউরোপের কোন দেশে তৈরি করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাননি ‘গোল্ড অ্যাপোলো’র প্রতিষ্ঠাতা।
উল্লেখ্য, লেবাননভিত্তিক সংগঠন হেজবুল্লাহর দুটি সূত্র থেকে রয়টার্স নিশ্চিত হতে পেরেছে যে, সংগঠনের সদস্যদের অবস্থান যাতে ইসরায়েল শনাক্ত না করতে পারে, সে কারণে তারা সেলফোনের বদলে পেজার ব্যবহার করে থাকেন।
পেজার কী
সেলফোন বাজারে আসার আগে বিভিন্ন দেশে পেজার ব্যবহার করা হতো। এটি এমন একট ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা শুধুমাত্র একপাক্ষিক ব্যবহার করা যায়। কেউ টেলিফোন করলে তার ফোন নম্বর পেজারের ডিসপ্লেতে দেখা যায়, তবে পেজার থেকে কল ব্যাক করা যায় না। পরে পেজার ব্যবহারকারী কোনো ফোনবুথ থেকে কল ব্যাক করে কথা বলতেন। সেলফোন বাজারে আসার পর তা কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে।