গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। ইতিমধ্যেই রাফাহ এলাকার বাসিন্দাদের সেখান থেকে উত্তর-পূর্ব এলাকায় সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এরই জেরে শহর ছেড়ে পালিয়েছেন ৩ লাখ ফিলস্তিনি।
রোববার (১২ মে) নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাফাহ শহরে ইসরায়েলি আগ্রাসন জোরদার করায় শহর ছেড়ে ৩ লাখ ফিলস্তিনি পালিয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। পালিয়ে যাওয়া এসব মানুষ গাজার অন্যান্য অংশ থেকে রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
ইসরায়েলি সরকার রাফা এবং গাজার অন্যত্র নতুন স্থানান্তর আদেশ জারি করার কয়েক ঘণ্টা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা দেয় ইউএনআরডব্লিউএ নামে পরিচিত জাতিসংঘের সংস্থা। আন্তর্জাতিক সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শহরটিতে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গত কয়েকদিনে আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে।
একইসঙ্গে সংস্থাটি বেসামরিক লোকদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে এবং বলেছে, রাফাতে পুরো মাত্রার আক্রমণ হবে ‘বিপর্যয়কর’।
সংস্থাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছে, ‘রাফার পরিবারগুলো আবারও সরে যাচ্ছে, আশ্রয়, খাবার, পানির সন্ধান করছে।’
এদিকে গত সোমবার থেকে রাফা ঘিরে তীব্র বোমাবর্ষণ এবং লড়াই চলছে। মূলত গত সপ্তাহের প্রথম দিকে ইসরায়েলি সৈন্যরা তাদের অভিযানের শুরুতে মিসরের সাথে রাফা ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং পরে তা বন্ধ করে দেয়। এতে করে সাহায্য প্রবাহও বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, তখন থেকে রাফা শহরে ইসরায়েলি হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন।
এছাড়া জাতিসংঘ গত সপ্তাহে বলেছে, রাফাহ থেকে পালিয়ে আসা অনেকেই দক্ষিণের শহর খান ইউনিস বা আরও উত্তরে উপকূল বরাবর মধ্য গাজার দেইর আল বালাহের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু উভয় এলাকাতেই মৌলিক পরিষেবাগুলোর সংকট রয়েছে।