পাল্টাপাল্টি বিমান হামলা শেষে উত্তেজনা প্রশমনে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান ও ইরান। চলতি সপ্তাহে দুই দেশ একে অন্যের ভৌগলিক সীমানায় বিমান হামলা চালানো ও হতাহতের ঘটনার পর শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) উভয় দেশের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায় ইরান। পাকিস্তানের সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে তেহরান।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় পাকিস্তান। দেশটি পাকিস্তানে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিঃস্কার করে এবং বর্তমানে তেহরানে থাকা নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে।
এরপর পাকিস্তানও গত বৃহস্পতিবার ইরানে পাল্টা হামলা চালালে উত্তেজনা তীব্র রূপ নেয়। যদিও ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধের কারণে আঞ্চলিক উত্তেজনা ইতোমধ্যেই তুঙ্গে রয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের প্রতি উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। অবশেষে উভয় দেশের মধ্যে মধ্যস্থতারও প্রস্তাব দিয়েছে চীন।
টেলিফোনে কথা বলার পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবুদল্লাহিন সন্ত্রাস দমনে নিবিড় সমন্বয় ও পারষ্পরিক উদ্বেগের বিভিন্ন বিষয়ে শক্তিশালী অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে একমত হন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত উভয় পক্ষের কথোপকথন থেকে জানা গেছে, এ দুজন পরিস্থিতি শান্ত করার বিষয়েও একমত হয়েছেন।
উভয় দেশের পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই পক্ষে মোট ১১ জন প্রাণ হারিয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্র সচিব সৈয়দ রসুল মৌসাভি মাইক্রো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানান, ‘দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে সর্বোচ্চ কাজ করছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দুই দেশের নেতা ও কর্মকর্তারাই জানেন, এ উত্তেজনায় শুধুমাত্র সন্ত্রাসী ও দুই দেশের শত্রুরাই উপকৃত হবে।’
রসুল মৌসাভি মাইক্রোর পোস্টের জবাব দিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব রহিম হায়াত কোরেশি লেখেন, ‘প্রিয় ভাই, পাকিস্তান-ইরান ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশ এবং তাদের যে সকল সমস্যা আছে, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। দুই দেশের মধ্যে যে বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস ছিল সেটি পুনর্স্থাপন করতে হবে।’