ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরে আকস্মিক বন্যায় শতাধিক মৃত্যু

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 13:02:39

ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরে আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ১০১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (০৫ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট দেশের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। রোববার সকালে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে পূর্বের প্রদেশ ওয়েস্ট নুসা তেঙ্গারায় বন্যার ঘটনা ঘটে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বন্যা উপদ্রুত এলাকার সর্বত্র এখন ধ্বংসস্তূপের চিহ্ন। কোথাও বাড়িঘর ভেসে গেছে, আবার কোথাও শিকড়সহ উপড়ে গেছে গাছপালা। ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরের ওই সব এলাকায় অসংখ্য মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলটি পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরস দ্বীপ থেকে পূর্ব তিমুর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, পূর্ব তিমুরে এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বেশির ভাগ মৃত্যুই হয়েছে পূর্ব তিমুরের রাজধানী দিলিতে।

জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র রাদিত্য জ্যোতি সাংবাদিকদের বলেছেন, কাদা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বন্যায় হতাহত হওয়ার ঘটনায় ‘গভীর সমবেদনা’ জানিয়েছেন। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, এই দুর্যোগের কারণে আমাদের ভাইবোনদের যে অপরিসীম দুঃখ ভোগ করতে হচ্ছে, সেটি আমি অনুভব করতে পারছি।

বন্যায় উপদ্রুত ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরের সংশ্লিষ্ট এলাকায় এখন ভুক্তভোগীরা খাবার, ওষুধ ও কম্বলের অভাবে রয়েছে। পূর্ব তিমুরে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে তাদের বাসস্থান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি দুর্যোগপূর্ণ এলাকাগুলোতে ত্রাণ কার্যক্রম দ্রুত এবং ভালোভাবে পরিচালনার জন্য আদেশ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা, লজিস্টিকের সহজলভ্যতা, বাস্তুচ্যুতদের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা এবং অবকাঠামো পুনঃস্থাপনের জন্য।

এ সম্পর্কিত আরও খবর