দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে মালিকানা নিয়ে বিরোধপূর্ণ জলসীমায় দুই শতাধিক চীনা জাহাজ প্রবেশ করেছে। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে দেশটি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা একে গুরুত্বপূর্ণ ওই পানিপথে নতুন উত্তেজনার নজির বলে উল্লেখ করেছে।
বিতর্কিত এই অঞ্চলটির তদারকিকারী ফিলিপাইন সরকারের একটি টাস্কফোর্স শনিবার (২০ মার্চ) রাতে জানিয়েছে, গত ৭ মার্চ চীন সাগরের একটি দ্বীপ এলাকার কাছে চীনা নৌবাহিনীর সদস্যদের পরিচালিত ২২০টি জাহাজ শনাক্ত করেছে তারা।
মৎস্য সম্পদসহ খনিজ আহরণের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে বছরে প্রায় ৫ লাখ কোটি ডলারের পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। পুরো সমুদ্রপথকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে চীন। তবে আরও কয়েকটি দেশও ওই অঞ্চলের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। দেশগুলো হচ্ছে মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ওই অঞ্চলের দাবি না করলেও আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথ হিসেবে ওই অঞ্চলে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি ধরে রাখতে চায় তারা। এর অংশ হিসেবেই এ সাগরে চীনের তৎপরতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশের আপত্তির প্রতি সমর্থন জানিয়ে থাকে তারা।
ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিওডোরো লোকসিনের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চেয়েছিলেন বিবাদপূর্ণ পানিসীমায় চীনা জাহাজের উপস্থিতি নিয়ে দেশটি কূটনৈতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে কিনা। এর জবাবে তিনি বলেছেন, জেনারেলরা যদি বলেন তাহলেই আমরা এর প্রতিক্রিয়া জানাব। আমার মতে পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীগুলোই ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রোববার (২১ মার্চ) পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল দক্ষিণ চীন সাগরের ৯০ শতাংশের জন্য চীনের দাবিকে বাতিল করে দিয়েছিল, তবে বেইজিং এই রায়কে স্বীকৃতি দেয় না।
ফিলিপাইনের টাস্কফোর্স বলেছে, বিপুল সংখ্যক চীনা নৌকা হুইটসন রিফে দেখা গেছে। যা সামুদ্রিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
তবে টাস্কফোর্স বলেছে, জাহাজগুলো দেখে মনে হচ্ছে না তারা মাছ আহরণ করছে।