দুই বাংলাদেশি নাগরিকের কাছ থেকে সোনা, নগদ অর্থ এবং মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশসহ ৪ জন স্থানীয় নাগরিককে শাস্তি প্রদান করেছে মালয়েশিয়ার আদালত। দুই সপ্তাহ আগে দলবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশিদের ছিনতাই করেছিল তারা।
গত শুক্রবার (২৪ মে) কুয়ালালামপুরে দুটি ভিন্ন দায়রা আদালতের দুটি মামলার বিচারে অভিযুক্তদের শাস্তি প্রদান করেছেন।
পুলিশের কর্পোরাল ৩৪ বছর বয়সী নরিজাম আম্বিয়াহ বিচারক ইজরালিজাম সানসুইয়ের কাছে তার অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। নরিজাম এবং তার সহযোগী আরিফ হোসাইন নামে এক বাংলাদেশির কাছ থেকে একটি ব্র্যাসলেট এবং একটি নেকলেস ছিনতাই করে। যার মূল্য ২ লাখ ৬৪ হাজার রিঙ্গিত বা প্রায় ৬৬ লাখ টাকা। এছাড়াও ৪ হাজার ২০২ রিঙ্গিত বা ১ লাখ ৫ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন, ব্যাংক কার্ড, টাচ এন্ড গো কার্ড ছিনতাই করেন।
একইভাবে সাকেল আহমেদ নামে আরেক বাংলাদেশির থেকে ২ লাখ ৩১ হাজার রিঙ্গিত বা ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকার অলংকার, ছয়টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৩ হাজার ৬০০ রিঙ্গিত বা ৯০ হাজার টাকা ছিনতাই করে এই চক্র।
গত ১১ মে বেলা ১টা ৫ মিনিটে জালান মুন্সি আব্দুল্লাহতে একটি বিপণী বিতানের পার্কিং এলাকায় এই ছিনতাই সংঘটিত হয়।
পেনাল কোডের ৩৯৫ ধারায় উক্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং বেত্রাঘাতের বিধান রয়েছে। আদালত অপরাধী পুলিশ কর্মকর্তাকে ১০ হাজার রিঙ্গিত বা আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং প্রতিমাসে একবার নিকটস্থ থানায় রিপোর্ট করার আদেশ দেন
অভিযুক্ত অন্যরা হলেন, ৩৪ বছর বয়সী মো. কামরুজ্জামান ইমরান, ৩৩ বছর বয়সী মুহামদ আজম আবদুর রহিম এবং ৪৫ বছর বয়সী রোসাইজাল লাজাত। তাদের সবাইকে জনপ্রতি ৮ হাজার রিঙ্গিত বা ২ লাখ টাকার বিনিময়ে জামিন দেয়া হয়।