থাইল্যান্ডে ফুয়েল স্টেশন বলতে শুধু জ্বালানি বেচা কেনা নয় বরং স্টেশনটিকে করতে হয় ইউজার ফ্রেন্ডলি বা ব্যবহার বান্ধব। আর ব্যবহার বান্ধব মানে শুধু জ্বালানি গ্রহীতারাই নয়, বরং নাগরিকরা যেন নিজেদের প্রয়োজনের সকল কিছুই ফুয়েল স্টেশনে পান, সেটি নিশ্চিত করতে হয়।
এই দেশের মহাসড়কই নয় শুধু ব্যাংককের ফুয়েল স্টেশনগুলোতে গেলেও দেখা মিলবে সেভেন ইলেভেনের মতো সুপারশপের। যেখানে ভাত থেকে শুরু করে হরেক ধরনের ফ্রোজেন খাবার, কফি, স্টেশানারি সবই মিলবে।
আর ফুয়েল স্টেশনে বাধ্যতামূলক ব্যবহারবান্ধব টয়লেট নিশ্চিত করা হয়েছে থাইল্যান্ডের আনাচে কানাচে। এখানে নারী ও পুরুষের পাশাপাশি শারীরিক প্রতিবন্ধী, প্রবীন ও শিশুদের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও নবজাতককে পরিষ্কার করা এবং ব্রেস্টফিডিং কর্নারও রয়েছে এখানে।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় পরিচ্ছন্ন টয়লেটের জন্য সুনাম রয়েছে থাইল্যান্ডের। মহাসড়কের ফুয়েল স্টেশনের টয়লেটগুলো যেমন পরিচ্ছন্ন থাকে তেমনি উঁচু এবং নিচু কমোডের ব্যবস্থানও থাকে সব ধরনের ব্যবহারকারীদের জন্য।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর, ২০২৩) দক্ষিণ পূর্ব থাইল্যান্ডের রায়ং প্রদেশে বান পি মহাসড়কের পাশের একটি ফুয়েল স্টেশনে যাই। এখানে এসসো এবং পিটিটি কোম্পানিরই ফুয়েল স্টেশন বেশি। মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার পরপরই চোখে পড়বে ফুয়েল স্টেশন।
বান পি'র এই স্টেশনে রয়েছে দুটি খাবারের রেস্টুরেন্ট। যেগুলোতে বেশিরভাগই স্থানীয় খাবার। হরিনের মাংস থেকে শুরু করে, স্কুইড এবং নানা রকমের সামুদ্রিক খাবারের পশরা সাজানো হয়েছে৷ আর রেস্টুরেন্টগুলিসহ পুরো স্টেশনটি যেন একটি সাজানো রিসোর্ট। সেখানে চাইলে মানুষ পুকুর পাড়ে বসে যেমন বিশ্রাম নিতে পারে, তেমনি কায়াকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
এখানে রয়েছে গাড়ি ধোয়া, গাড়ি সারানো, কুরিয়ার সেবাসহ আরো নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান।
প্রায় একশত গাড়ি একসাথে এখানে পার্ক করতে পারে৷ ফুটপাথ জুড়ে রয়েছে থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী সব স্ন্যাকসের দোকান, আইসক্রিম আর ফলমূল।
থাইল্যান্ডে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা৷ তাই বড় সব বাস স্ট্যান্ডের মতো এখানে রয়েছে নারী ও পুরুষের ভিন্ন দুটি নামাজ পড়ার স্থান।