মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটির বেশি বাংলাদেশি কাজ করে। তাদের পাঠানো অর্থে মজবুত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। বদলে যাচ্ছে আর্থ-সামাজিক অবস্থা। তাদের পাঠানো টাকায় পরিবারের স্বচ্ছলতা, আনন্দ- ঈদ পার্বণ উদযাপন হলেও দূর পরবাসে প্রবাসীদের ঈদকাটে একরকম নিরানন্দেই।
প্রবাসীদের জীবনে ঈদের বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে প্রবাসীদের ঈদের ব্যস্ততা যেন মন খারাপ চাপা দেওয়ার এক উৎসব। বেশিরভাগ প্রবাসীই আনন্দময় এই উৎসবে পুরনো দিনের স্মৃতি হাতরে আর প্রিয়জনদের ছবি দেখেই পার করেন।
মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষের প্রত্যাশা আর প্রস্তুতির কমতি থাকে না। কিন্তু একের পর এক ঈদ আসে ঈদ যায়, পরিবার ছাড়া এসব প্রবাসীদের ঈদ কেটে যায় একরকম নিঃসঙ্গতায়।
সকাল সকাল দল বেঁধে ছোটাছুটি করে গোসল সেরে মিষ্টি মুখে নতুন জামা-কাপড় পরে ঈদগাহে যাওয়া প্রবাসীদের জন্য যেন শুধুই স্মৃতি। প্রবাসীদের কাছে শত কর্মব্যস্ততার মাঝে ঈদের ছুটিতে লম্বা ঘুমই যেনো ঈদের প্রাপ্তি।
ঈদের নামাজ শেষে দেশে ফোন করার পর বুকের ভেতর কষ্টের তীব্রতা যেন আরও বেড়ে যায়। এভাবেই কাটে প্রতিটি প্রবাসীদের ঈদ নামের নিঃসঙ্গ বেদনার এই দিনটি।
পৃথিবীতে প্রবাসের কষ্টটা একেবারেই আলাদা ধরনের। সব আছে তবুও যেন কিছুই নেই। একমাত্র প্রবাসীরাই তাদের কষ্ট অনুভব করতে পারবে, তাছাড়া কেউ না। আর এভাবেই প্রতিনিয়ত নিজের কষ্টকে চাপা দিয়ে পরিবার ও দেশের জন্য নিশ্চুপভাবে কাজ করে যায় এই প্রবাসীরাই।
আর সবকিছুর পরেও চাপা কান্না বুকে নিয়ে মুচকি হেসে এই প্রবাসীরাই বলেন আমি ভাল আছি।