বিখ্যাত স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী ফ্রান্সিস্কা ব্লাজকেজ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এখন বিশ্বের অপার সৌন্দর্য্য আর সম্ভাবনাময়। স্পেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে ফ্রান্সিস্কা ব্লাজকেজ বলেন, বাংলাদেশের লোকেরা উদ্যোগী, সৃজনশীল, দৃঢ প্রতিজ্ঞ এবং কঠোর পরিশ্রমী। এবং সর্বোপরি তারা শান্তিপ্রিয়। আর শান্তিতেই মানবতার ভবিষ্যৎ নিহিত।
স্পেনের মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বিখ্যাত স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী ফ্রান্সিস্কা ব্লাজকেজের চিত্রকর্ম নিয়ে ‘বিশ্ব শান্তি ও বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ শিরোনামে মাসব্যাপী চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় বাংলাদেশ দূতাবাস মিলনায়তনে এ চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ। প্রদর্শনীর এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
চিত্রপ্রদর্শনীতে চিত্রশিল্পী ব্লাজকেজের ৩৩টি চিত্রকর্ম ছাড়াও নির্মম নিপীড়ন ও গণহত্যার শিকার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয়দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামমুখর রাজনৈতিক জীবন, জাতিসংঘে ১৯৭৪ সালে তার প্রদত্ত ঐতিহাসিক বক্তৃতা ও বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তার বৈঠকসমূহের অসাধারণ কিছু মুহূর্তের আলোকচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।
চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রণীত স্বাধীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি- সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বৈরিতা নয়- আজও আদর্শ বৈদেশিক সম্পর্ক নিরূপণের উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিক জনমতকে প্রভাবিত করতে ভূমিকা রাখার জন্য আগত অতিথিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মায়ের মমতায় আশ্রয়দানের জন্য বৃটিশ গণমাধ্যম চ্যানেল ফোর নিউজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে মানবতার জননী আখ্যা দিয়েছে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের মিলনায়তনে আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ চিত্রপ্রদর্শনী চলবে। সোমবার থেকে শুক্রবার প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল) দ্বীন মোহাম্মদ ইমাদুল হক।