পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাহরাইনের বিখ্যাত ডিলমানিয়া মলে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শনিবার (২৫ জুন) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিদেশি কূটনীতিক, বাহরাইনের সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, লেখক, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গসহ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী এবং বাহরাইনে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরাসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি তিন পর্বে বিভক্ত করা হয়। প্রথম পর্বে পদ্মা বহুমুখী সেতুর উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা, দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সর্বশেষে চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, পদ্মা সেতু হলো বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের সেতু। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রত্যয় ও আত্মবিশ্বাসের কারণে এই পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। তিনি এই আনন্দক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রসংশা করেন এবং বাহরাইন প্রবাসীদের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশে যোগাযোগের নতুন মাত্রা উন্মোচিত হলো, যা বাংলাদেশের ২১টি জেলার মানুষের জীবনমান বদলে দিবে।
রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম বলেন, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুটি কোন বিদেশি সাহায্য ব্যতিরেখে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়। সমস্ত দেশি-বিদেষি ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ আয়ের দেশে বাংলাদেশকে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলছেন। দেশের উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের সাথে নিয়ে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন যেখানে বাংলাদেশ স্কুল, বাহরাইনের শিক্ষার্থীরা তিনটি দেশীয় গানের সাথে মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করেন। এরপর, রাষ্ট্রদূত আগত অতিথিদের সাথে ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক স্থানসমূহের এমন সৌন্দর্য্যপূর্ণ ছবি দেখে দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীরা বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পেরে আনন্দিত হন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে আগত সকল অতিথি, দর্শনার্থী, বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
পরিশেষে, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যাতে বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত হতে পারে তার জন্য দোয়া কামনা করা হয় এবং উপস্থিত সকলের মাঝে দেশীয় খাবার পরিবেশন করার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।