ওয়াশিটন বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নার পাঠাগার ও গবেষণাকেন্দ্রে ‘ভ্রমণগদ্য’ এর বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী সংখ্যা হস্তান্তর করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কর্নারের পাঠাগার ও গবেষণাকেন্দ্রে সর্বসাধারণের পাঠের জন্য এই পত্রিকা সংরক্ষণ করা হবে। শুক্রবার বিকাল চারটায় (বাংলাদেশ সময় রাত দুইটা) রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলামের কাছে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন পত্রিকাটির সম্পাদক ভ্রমণলেখক মাহমুদ হাফিজ। এ সময় দূতাবাসের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল চারটায় ভ্রমণগদ্য সম্পাদক ভ্যান নেস এলাকার ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে মান্যবর রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম এর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ভ্রমণগদ্য সম্পাদক দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারের পাঠাগারে সংরক্ষণের জন্য পত্রিকাটির বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী সংখ্যাসহ এর চলতি সংখ্যা সৌজন্য হিসাবে প্রদান করতে চাইলে রাষ্ট্রদূত তা সাদরে গ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে উভয়ে দূতাবাসের নিচতলায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু কর্নারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য পরিদর্শন করেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু কর্নার খোলার নির্দেশনা দেয়া হলেও ওয়াশিটন বাংলাদেশ দূতাবাসে ২০১৭ সালেই জাতিরজনকের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। ভার্চুয়ালি এটি উদ্বোধন করেন প্র্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কর্নারের আরেকটি অংশের পাঠাগারে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই পত্র সংরক্ষণ করে পাঠ ও গবেষণার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। কর্নারটি বন্ধ রাখ হতো, আমি দূতাবাসে এস এটি আগত অতিথি ও দূতাবাসসংশ্লিষ্টদের পাঠ ও গবেষণার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আগ্রহীরা এই কর্নার থেকে উপকৃত হবে। তিনি বলেন, ভ্র্রমণগদ্যের বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকীর সংখ্যাটি এখানে পাঠকের জন্য রাখ যুক্তিযুক্ত হবে বলে তিনি ভ্রমণগদ্যের সম্পাদকসহ এর সঙ্গে যুক্তদের ধন্যবাদ জানান।
আলোচ্য সংখ্যাটিতে জাতিরজনকের ভরজীবনের ভ্র্রমণ নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর ভ্রমণ পদচিহ্ন’ নমে অনবদ্য মূল রচনাটি লিখেছেন প্রাবন্ধিক গাজী আজিজুর রহমান। স্থপতি ও শিল্পী মুস্তাফা খালিদ পলাশ, টিএ কামাল কবির, মনিজর আক্তার পেইন্টিংসহ বঙ্গবন্ধুর লেখা’ আমার দেখা নয়া চীন’ গ্রন্থের গ্রন্থ পরিচিতি প্রকাশিত হয়েছে।