মালদ্বীপে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। রোববার (১৫ আগস্ট) এ উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মালদ্বীপের বাংলাদেশ দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান। দিনের প্রথম কর্মসূচি সকাল ৯টায় বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গনে ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় তরজমাসহ পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এর পর উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। অতঃপর দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দুতালায় প্রধান মো. সোহেল পারভেজ স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
পরে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন- বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সি আই পি আলহাজ্ব সোহেল রানা ও এমআই কলেজের চেয়ারম্যান আহমেদ মোক্তাকি। বক্তব্য শেষে বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও জীবন নিয়ে প্রামাণ্য চিত্র প্রর্দশন করা হয়।
সবশেষে রাষ্ট্রদূত রিয়াল এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন ও ১৫ আগস্ট নিহত জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য দোয়া করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু শুধুমাত্র সরকারের একার চেষ্টা দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য যথেষ্ট নয়। আমাকে-আপনাকে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।