চিনের ন্যানজিং ইউনিভার্সিটি অব দি আর্টস-এ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সুব্রত কুমার ভৌমিকের অস্তিত্বের পুনর্গঠন শীর্ষক একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরুহয়েছে। গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ন্যানজিং ইউনিভার্সিটি অব দি আর্টস এর প্রেসিডেন্ট লিউ ওয়েই দং। প্রদর্শনীটি চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
সুব্রত কুমার মানব সভ্যাতার অস্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন এবং প্রকৃতিকে রক্ষার বিষয়গুলিকে তার শিল্পকর্মের বিশ্বকে জানানর চেষ্টা করেছেন। তিনি মানব সভ্যতা কিভাবে প্রকৃতিকে প্রভাবিত করছে, করোনা মহামারীতে মানুষের মানসিক দুরাবস্থা, মহামারী থেকে প্রকৃতিকে রক্ষা করা এবং একে অন্যর ভরসা হয়ে অস্তিত্বের পুনর্গঠন তার শিল্পকর্মে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
শিল্পকর্মগুলো দর্শকদের প্রভাবিত করবে এমন আশা করে সুব্রত কুমার জানান, নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য মানবজাতি প্রকৃতির সাথে এক বন্ধন তৈরি করবে, পশুপাখি, গাছপালা রক্ষার মাধ্যমে মানবজাতি নতুন এক এমন পৃথিবী নির্মাণ করবে যেখানে প্রকৃতি এবং মানবজাতি উভয়ের জন্যই থাকবে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। এমন প্রত্যাশা থেকেই শিল্পকর্মগুলো।
তিনি আরো জানান, বর্তমান সময়ের মহামারীর জন্য মূলত মানব সভ্যতায় দায়ী। নিজেদের ক্ষণস্থায়ী সুখের আশায় আমরা প্রকৃতি এবং প্রাণীকুলকে প্রভাবিত করেছি। যার ফলে আমাদের করোনার মতো মহামারীর সম্মুখীন হতে হয়েছে।
জাম্বিয়ান শিক্ষার্থী ডেভিসনের ভায়োলিনের মনোমুগ্ধকর সুরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন- ন্যানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষা অনুষদের ডিন অয়াং শি, প্রফেসর হ ফাংসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে চীন সরকার কর্তৃক শিক্ষা বৃত্তি নিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য চীনে আসেন সুব্রত কুমার ভৌমিক। এর আগে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।