উন্নয়নশীল দেশে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশসমূহে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় করোনার টিকা দ্রুত সরবরাহে দৃশ্যমান ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ গাভি দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, সিইপিআই এবং ইউনিসেফের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের ১৪৮তম সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চলমান মহামারী বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতাকে উন্মোচিত করেছে’। তিনি কোভিড-১৯ ও মহামারী পরবর্তী সময়ে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশসমূহের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স (এএমআর) সংক্রান্ত ‘ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স’ গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে মনোনীত করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, পশু স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্ব সংস্থা (ওআইই) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. তেদরোস আধানোম গেব্রোয়াসুস গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এছাড়া, ড. তেদরোস করোনা সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত ও সঠিক সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করে একটি পত্র প্রেরণ করেন এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারেরে সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।
এবারের নির্বাহী বোর্ডের সভায় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ৫০টি বিষয়ের উপর বিশদ আলোচনা হয়। ৫টি রেজুলেশন ও ১৩ টি সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। বাংলাদেশ মানসিক স্বাস্থ্য এবং ওরাল হেলথ বিষয়ক রেজুলেশন দু’টি কো-স্পন্সর করে। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সদস্য দেশগুলোর পক্ষে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রেজুলেশনটির উপর একটি যৌথ বিবৃতি প্রদান করে।
উল্লেখ্য, গত ১৮-২৬ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জেনেভাস্থ সদরদপ্তরে নির্বাহী বোর্ডের ১৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই ভার্চুয়াল সভায় নির্বাচিত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং প্রায় সকল আলোচনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।