যথাযথ মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই সকলকে মহান বিজয় দিবস ও মুজিববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের প্রতি অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, “সার্বিক মুক্তির মধ্য দিয়ে একটি উদার, উন্নত, অবদানক্ষম, সমতাভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য। মুজিববর্ষের এই শুভ-ক্ষণে দাঁড়িয়ে সেই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সম্মিলিত শপথ ও অঙ্গীকারকে আরও শাণিত করতে হবে।”
তিনি মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপম মহৎ আদর্শকে বুকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অদম্য উন্নয়ন যাত্রায় শামিল হতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
রাষ্ট্রদূত রহমান আরো বলেন, বিশ্বব্যপী মহামারী আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। সুইজারল্যান্ডেও কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ভাই-বোনদেরকে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সুইজারল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া সুরক্ষামূলক নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করেছেন। উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন বছরব্যাপী কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এ ধারাবাহিকতায় সুইজারল্যান্ডে বসবাসকারী বাংলাদেশি প্রবাসীদের অংশগ্রহণে একটি আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের পরিকল্পনা থাকলেও মহামারি কোরোনা ভাইরাসের কারণে সুইজারল্যান্ড সরকার কর্তৃক সকল প্রকার জনসমাগম নিষিদ্ধ করার প্রেক্ষিতে এ অনুষ্ঠানের আকার ও প্রকৃতিতে পরিবর্তন করে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
পরিশেষে, বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পর্যায়ে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।