চিকিৎসা খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বল্পতা রয়েছে, যা রাতারাতি পূরণ সম্ভব নয়। আমরা জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য স্বাস্থ্যখাতে চেষ্টা করছি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন হাজারীবাগ কোম্পানীঘাট ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় 'শহীদ শামসুনেনেছা আরজু মণি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১০ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ' উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি মায়ের নামে উৎসর্গ করা এই হাসপাতালে যা যা করা প্রয়োজন আমি সবকিছু করব। মা ও শিশুদের কল্যাণের জন্য যে হাসপাতালটা এখানে মা এবং শিশু দুইজনকেই আমাদের কেয়ার করতে হবে। এই হাসপাতালটিতে এসে আমি যেগুলো দেখলাম প্রসবের আগে যে চেকআপটা সেটা ভালোভাবেই করা হয়। এখানে যারা মহিলা ডাক্তার আছেন আমি আপনাদেরকে একটা কথা বলি বাংলাদেশে একটা জিনিস খুব কমন, মায়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার। মায়েদের যখন আপনারা দেখবেন তখন তাদের এই জিনিসটাও খেয়াল করবেন। তাদের ব্রেস্টে কোনো লাম্প আছে কীনা। আপনারা যদি এমন কোন রোগী পান, তাহলে আমাদের হাসপাতাল শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হয়। সব অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ব্রেস্ট স্ক্যানিং হয়। আপনারা সেখানে পাঠিয়ে দেন আমরা বিনামূল্যে সব ধরনের তাদের চিকিৎসা করব।
আমি সারাদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি, সারা জীবন আমি চিকিৎসা করেছি আমার কাছে খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যখন মায়েরারা আসেন এই ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগ নিয়ে তখন তাদের আর কিছুই করার থাকে না। সুতরাং দ্রুত রোগ নির্ণয় করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসা খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যখন সংসদে যাই তখন বিভিন্ন সংসদ সদস্যরা আমাকে বলেন ডাক্তারের স্বল্পতা, এ স্বল্পতা, সে স্বল্পতা। আমি জানি দেশে চিকিৎসাখাতে অনেক স্বল্পতা আছে। রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন সম্ভব না। আমাদেরকে কিছুটা সময় দেন আমরা চেষ্টা করব মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে।
আজকে যদি বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশটা স্বাধীন না করতেন আমি সামন্ত লাল সেন কোনদিনও মন্ত্রী হতে পারতাম না। সুতরাং আমি অকৃতজ্ঞ হতে চাই না আমি সেই পরিবারের জন্য যতোটুকু করার দরকার যা করার দরকার সবকিছু করব। আজকে এই হাসপাতালের সাথে এমন একজন নারীর নাম জড়িত এই হাসপাতালের জন্য আমি যদি কিছু না করি তাহলে তার প্রতি অসম্মান করা হবে। তার প্রতি অসম্মান করা মানে স্বাধীনতার প্রতি অসম্মান করা হবে। আমি যদি এই হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল করতে না পারি তাহলে আমি মনে করব স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে এটা আমার ব্যর্থতা। সবকিছু আমি রাতারাতি পারবো না। আস্তে আস্তে সব কিছু করা হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা স্বাস্থ্য খাতে চেষ্টা করব যে যতটুকু সম্ভব আমরা জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা ১০ আসনের সদস্য ফেরদৌস।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ প্রমুখ।