নিপাহ ভাইরাস একধরনের ভাইরাসঘটিত রোগ। বাদুড় ও শূকরের মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে থাকে। সংক্রমিত পশু ও মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, হাঁচি-কাশি ও খাবারের সংস্পর্শে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো হলো- জ্বরসহ মাথাব্যাথা, খিঁচুনি, প্রলাপ বকা, অজ্ঞান হওয়া ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এই রোগ সেরে যাওয়ার পরও রোগীর মস্তিষ্কে সংক্রমণ ও খিঁচুনি ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।
২০২৩ সাল পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসের কোন ভ্যাকসিন বা বিশেষ চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি। বাদুড় ও রুগ্ন শূকর থেকে দূরে থেকে এবং অপরিশুদ্ধ খেঁজুর রস না পান করে এই রোগের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
নিপাহ ভাইরাস ১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে প্রথম দেখা যায়। ২০০১ সালে বাংলাদেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। ভাইরাসজনিত এ রোগ এখন পর্যন্ত সারাদেশের মোট ৩৪টি জেলায় ছড়িয়েছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত রোগটিতে মোট ৩৩৯ জন আক্রান্ত এবং মারা গেছেন ২৪০ জন।
এ রোগের প্রধান লক্ষণসমূহ
>> জ্বরসহ মাথাব্যাথা
>> খিঁচুনি
>> প্রলাপ বকা
>> অজ্ঞান হওয়া
>> কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট।
নিপাহ রোগ প্রতিরোধে করণীয়
>> খেঁজুরের কাঁচা রস খাবেন না
>> কোন ধরণের আংশিক ফল খাবেন না
>> ফলমূল পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে খাবেন
নিপাহ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে যতদ্রুত সম্ভব নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করুন। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ধুয়ে ফেলুন।