রাজশাহীর কাটাখালিতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একমাত্র বেঁচে যাওয়া পাভেল এখন রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। এর আগে কাটাখালিতে মাইক্রোবাস ও যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় বাবা-মাসহ ১৭ জন নিহত হলেও বেঁচে যায় রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র পাভেল ইসলাম (১৭)।
তিনি এখন রংপুর মেডিকেলের পঞ্চম তলার ১৯নং ওয়ার্ডে নিউরো সার্জারি বিভাগের পেয়িং বেডের পি-৪ বিছানায় ভর্তি আছেন। এর আগে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন।
রোববার(৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাভেলকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পাভেলের চাচাতো ভাই সাগর মিয়া জানান, দুর্ঘটনায় পাভেলের বাবা মোখলেছার রহমান ও মা পারভীন বেগম নিহত হন।কিন্তু ভাগ্য ক্রমে পাভেল বেঁচে যায়। তাৎক্ষনিক তাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয় এবং গত ২ এপ্রিল রাজশাহী মেডিকেলে টানা আট দিন পর তার জ্ঞান ফিরে। চিকিৎসক পাভেলকে কিছু সময় পরপর নাম ধরে ডাকতে বলেছে। সে এখন চোখ ও মুখ খুলছে, কথাও বলছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোকাদ্দেম হোসেন জানান, পাভেল এখন মানুষ চিনতে পারছে। হাল্কা কথাও বলতে পারছেন। তবে তার শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ সকালে একটি মাইক্রোবাসযোগে রংপুরের পীরগঞ্জের কয়েকটি ব্যবসায়ী পরিবারের ১৭ সদস্য রাজশাহীতে পিকনিকে যায়। ওইদিন বেলা ২টার দিকে মাইক্রোবাসটি কাটাখালি থানার সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মাইক্রোবাসটির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ধরে গেলে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসটির চালকসহ ১৭ জন নিহত হন। বেঁচে যান পাভেল। তখন তাকে রাজশাহী মেডিকেলের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।পাভেলের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ দ্বাড়িকাপাড়া গ্রামে।