করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করে তুলতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম।
বার্তা২৪.কম'র সাথে আলাপকালে চট্টগ্রামের প্রবীণতম হোমিও চিকিৎসক অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম বলেন, 'করোনাকালে সারা দেশে সাড়ে ১৫ লাখের বেশি মানুষকে হোমিও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। করোনায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে কোভিড-১৯ পজেটিভ ১০৩ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে ৯৭ জনই নেগেটিভ হয়েছেন। ৩ হাজার ২৫৫ জন প্রতিরোধ মূলক চিকিৎসা সেবা নিয়ে তারা সবাই এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন।'
অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। সম্ভবনা থাকার পরেও বাংলাদেশে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা অবহেলিতই থেকে গেছে নানা জটিলতা, অনিয়ম ও অব্যবস্থার কারণে। অথচ সহজ লভ্যতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকায় দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আস্থা রাখেন। সুপরিকল্পিত নীতি ও কর্মসূচি নিয়ে অগ্রসর হলে হোমিও চিকিৎসা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আরো অবদান রাখতে পারবে।'
বার্তা২৪.কম'কে অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম বলেন, 'বৈশ্বিক মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার খবর পাওয়া যাচ্ছে এবং এতে এক ধরনের আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। করোনাকালে ভীত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপযুক্ত ও যোগ্য চিকিৎসকের সাহায্য গ্রহণ করাই কাম্য। সতর্কতা ও সঠিক চিকিৎসাই করোনার ঝুঁকি কমাতে পারবে।'
করোনা ভাইরাসসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক মহামারি প্রতিরোধ এবং এই চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরো জনপ্রিয় ও কার্যকর করে তুলতে হোমিওপ্যাথির উচ্চতর গবেষনার জন্য দেশের যোগ্য ও নেতৃস্থানীয় চিকিৎসকদের নিয়ে জাতীয় রিসার্চ সেন্টার, উচ্চতর শিক্ষার জন্য হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং আধুনিক হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম বলেন, চট্টগ্রামে 'করোনা প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ভূমিকা ও করণীয়’ নিয়ে ওয়ার্কশপসহ প্রতিনিয়ত আলাপ-আলোচনা করা হচ্ছে। আমরা রোগির লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসার পন্থা অবলম্বনের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছি। এভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করে তুলতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সফল হয়েছে।'
অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম বলেন, 'করোনার প্রতিরোধমূলক ঔষধ হিসেবে আর্সেনিক অ্যালবামের কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। তাছাড়া রোগিদের শ্বাসকষ্ট, বুক ব্যাথা ও অন্যান্য উপসর্গ অনুযায়ী সঠিক ঔষধ প্রয়োগ করে ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সবাইকে বলবো, মহামারি করোনার দুর্যোগে কোনো অবস্থায় ভীত বা আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি ও চিকিৎসা মেনে চলুন এবং নিজের ও সমাজের অন্য সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।'