কান উৎসবের পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমো ‘ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন...হলিউড’ বাহিনী ব্র্যাড পিট ও লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে এগিয়ে নিয়ে এলেন। প্রথমে ঢুকলেন অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী মার্গট রোবি। তার পেছনে পরিচালক কোয়েন্টিন টারান্টিনো ও ব্র্যাড পিট। এরপর দুই প্রযোজক শ্যানন ম্যাকিনটোশ ও ডেভিড হেম্যানের মাঝে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। সংবাদকর্মীরা তখন সবাই ভক্ত!
দুই হার্টথ্রবকে সামনে পেয়ে কারও স্মার্টফোন বন্ধ হচ্ছে না। পিট সাত বছর পর আবারও কানসৈকতে পা রাখলেন। সবশেষ ২০১২ সালে ‘কিলিং দেম সফটলি’ ছবির প্রচারণার জন্য এসেছিলেন তিনি। আর অস্কারজয়ী ডিক্যাপ্রিও সবশেষ চার বছর আগে দক্ষিণ ফরাসি উপকূলে আসেন।
এবারই প্রথম পিট ও ডিক্যাপ্রিও একসঙ্গে পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিতে অভিনয় করলেন। এর আগে ২০১৫ সালে মার্টিন স্করসেজির স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিতে কাজ করেছেন তারা। তাদের বোঝাপড়া কতটা চমৎকার তা স্বাচ্ছন্দ্য দেখেই পরিষ্কার।
সংবাদ সম্মেলনে ডিক্যাপ্রিও বলেন, ‘আরামে কাজ করার ক্ষেত্রে ব্র্যাড বরাবরই দারুণ সহশিল্পী। আমরা একই প্রজন্মের মধ্যে বেড়ে উঠেছি। একই সময় আমাদের শুরুটা হয়েছে। আশা করছি, আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প সম্পর্কিত ছবিতে আমরা সিনেম্যাটিক বন্ধুত্ব তৈরি করতে পেরেছি।’
‘রেভেন্যান্ট’ তারকার কথা শেষ হতেই পিট বলেন, ‘একই দৃশ্যে সামনে সেরাদের মধ্যে একজনকে সহশিল্পী হিসেবে পাচ্ছেন জানলে সেরা কাজটা এমনিতেই আসে। আশা করি, আমরা আবারও একসঙ্গে কাজ করবো।’
টারান্টিনো চেয়েছিলেন, সাংবাদিকরা যেন তার নবম ছবিটির গল্প ফাঁস না করেন। ‘ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন...হলিউড’-এর প্রেক্ষাপট ১৯৬৯ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস। ঝলমলে পার্টি, উত্থান-পতনসহ সারাবিশ্বের সিনেমার প্রতি তার প্রেমপত্র এটি। গত ২০ মে উদ্বোধনী প্রদর্শনীর সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে ছবিটি। তাই তার কাছে মজার প্রশ্ন, এখনকার চেয়ে ষাট-সত্তর দশকে ছবি বানানোর সুযোগ পেলে কেমন লাগতো? ৫৬ বছর বয়সী এই নির্মাতার রসিক উত্তর, ‘মোবাইল ফোন আসার আগের যেকোনও সময়কে ছবি বানানোর জন্য বেছে নিতাম!’