জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩ প্রদানের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে। যাতে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ, অভিনেত্রী অপি করিম ও নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন, কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসিসহ জুরিবোর্ডের ১৩ সদস্যের একটি তালিকা পাওয়া যায়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের এই জুরিবোর্ড গঠনের দেড় মাসের মাথায় আবারও পুনর্গঠন করে নতুনভাবে আবারও প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এবার ইলিয়াস কাঞ্চন, প্রিন্স মাহমুদ, অপি করিম ও জাহিদুর রহিম অঞ্জনের বদলে মিলল অন্যদের নাম।
তবে ইলিয়াস কাঞ্চন এই বোর্ডে কাজ করতে না পারার অপারগতা আগেই জানিয়েছিলেন। বাকিদের বাদ দেওয়া হয়েছে নাকি নিজেরাই অব্যাহতি নিয়েছেন, সেটা জানা যায়নি।
গত সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র শাখার উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় নতুন চার সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার কথা। তারা হলেন অভিনেত্রী সুচরিতা, অভিনেতা নাঈম, সংগীত পরিচালক মকসুদ জামিল মিন্টু এবং নির্মাতা সাঈদুর রহমান সাঈদ।
এর বাইরে পদাধিকার অনুযায়ী জুরিবোর্ডের সভাপতি হিসেবে রয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র)। সদস্যসচিব হিসেবে আছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড ঢাকার ভাইস চেয়ারম্যান, সদস্য হিসেবে আছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা প্রধান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
জুরিবোর্ডে আরও রয়েছেন চিত্রগ্রাহক বরকত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের সভাপতি এস এম ইমরান হোসেন এবং সাংবাদিক ওয়াহিদ সুজন।
জুরিবোর্ডের কার্যপরিধি সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পর্যবেক্ষণপূর্বক পুরস্কারের জন্য চলচ্চিত্র, শিল্পী ও কলাকুশলীদের নাম সুপারিশ করবে এই জুরিবোর্ড। আজীবন সম্মাননাসহ ২৮টি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে।
চিত্রনায়ক নাঈম বলেন, ‘রাষ্ট্র আমাকে যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছে তা আমি যথাযথভাবেই পালন করার শতভাগ চেষ্টা করব। যেহেতু আমি সিনেমাতে শুধু অভিনয় করিনি, পাশাপাশি সিনেমা প্রযোজনা করেছি, গল্প নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে, কাহিনিকারের সঙ্গে বসেছি, সিনেমা এডিটিংয়ের সময় এডিটরের সঙ্গে বসেছি, মিউজিকের কাজ করার সময় বসেছি, দেশের অনেক প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, সিনেমাটোগ্রাফারের সঙ্গে কাজ করেছি। তাই অভিনয়ের বাইরে সিনেমার নানান দিক সম্পর্কে আমি মোটামুটি বেশ ভালো জানি বা বুঝি। তাই আমি আমার ওপর এই অর্পিত দায়িত্ব ঠিকঠাকেভাবে পালন করার চেষ্টা করব। কারণ আমি বিশ্বাস করি, যদি ভুল বিচার করি, পক্ষপাতিত্ব করি, তবে আমাকে এর জবাবদিহি করতে হবে কোনো একদিন। তাই আমি আমার কাজটা শতভাগ সততার সঙ্গেই করব ইনশাআল্লাহ।’