দেশের সর্ববৃহৎ সিনেমা হল যশোরের মণিহার। এক হাজারের বেশি আসন রয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। এবার ঐতিহ্যবাহী মণিহারে চালু হচ্ছে সিনেপ্লেক্স। প্রেক্ষাগৃহটির ঠিক ওপরতলায় ৬৬ আসনের এই সিনেপ্লেক্স চালু হচ্ছে আগামী ১ নভেম্বর, জানালেন মণিহারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউল ইসলাম।
জিয়াউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯৮৩ সালে সোহেল রানা-সুচরিতা অভিনীত ও দেওয়ান নজরুল পরিচালিত ‘জনি’ সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু করে যাত্রার শুরু থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত ১ হাজার ৪৩০ আসনের মণিহারে দিনে চারটি শোতেই নামত দর্শক ঢল। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের পর দর্শক খরার কারণে প্রদর্শন ব্যবসায় শুরু হয় মন্দা। গত দুই দশকের মধ্যে ‘মনপুরা’, ‘শিকারী’, ‘নবাব’, ‘আয়নাবাজি’, ‘ভাইজান এলো রে’, ‘হাওয়া’, ‘পরাণ’, ‘প্রিয়তমা’, ‘রাজকুমার’, ‘তুফান’ এসব ছবি দারুণ ব্যবসা করেছে। এসব ছবি উপভোগ করতে দর্শকের উপচে পড়া ভিড় ছিল।
মণিহার কর্তৃপক্ষ বরাবরই সুন্দর পরিবেশে দর্শকদের ছবি উপভোগ করার আয়োজনে অঙ্গীকারবদ্ধ, জানালেন জিয়াউল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমানে ভালো পরিবেশসহ নানা সুবিধার জন্য সিনেপ্লেক্সের দর্শকপ্রিয়তা বেড়েছে। মানুষেরও ভালো সিনেমা দেখার চাহিদা রয়েছে। মণিহার সিনেপ্লেক্সেও বৃহত্তর যশোরের সিনেমাপ্রেমী মানুষ পরিবারসহ বিনোদনের নতুন জায়গা খুঁজে পেতে পারেন।
মণিহার সিনেপ্লেক্সের কাজ প্রায় শেষ জানিয়ে বলেন, সময়ের চাহিদায় নিজ উদ্যোগেই এটি করছেন তারা। আগামী দিনে অন্যান্য তলায়ও সিনেপ্লেক্স চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। জিয়াউল ইসলাম বলেন, উন্নত বসার ব্যবস্থা, এসি ও মনোরম লাইটিংসহ ডলবি সাউন্ড সিস্টেমের কাজ শেষ হয়েছে। ১ নভেম্বর ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ মুক্তি পাবে, এরপর শাকিব খানের ‘দরদ’-এর প্রস্তুতি নিচ্ছি।