বিশ্বের বৃহৎ চারটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার একটি ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল’। এই প্রতিযোগিতাটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জাপান-এর আয়োজনে ১৯৬০ সাল থেকে সৌন্দর্য, সৌহার্দ্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্প (এএমটিসি) ২০২৪ সালের মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর জন্য অফিসিয়াল লাইসেন্সিং রাইটস অর্জন করেছে!
দেশের শীর্ষ র্যাম্প মডেল ও ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এই খবর আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কারণ এই মাইলফলক অর্জন এএমটিসিকে বৈশ্বিক মঞ্চেই কেবল প্রতিষ্ঠিত করছে না। এটি আন্তর্জাতিক মডেলিং ও ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে এএমটিসির অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে।’
মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর জন্য অফিসিয়াল লাইসেন্স পেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নুজহাত তাবাসসুম এফাকে নির্বাচন করেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে আজরা বলেন, ‘আমরা কোন প্রতিযোগিতা করে মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নির্বাচন করতে পারিনি কারণ চলমান দেশের পরিস্থিতি। তাছাড়া পর্যাপ্তও হাতে ছিলো না। তবে এফাকে আমি চিনি অনেক বছর ধরে। তিনি বাংলাদশের একজন দক্ষ মডেল। শুধু তাই নয়, তিনি গত বছর মিস এন্ড মিস্টার সেলিব্রেটি ইন্টারন্যাশনাল-এ বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করে সেরা দশে জায়গা করে নেন। সেটিও আমাদের দেশের জন্য গৌরবের বিষয়। তাই আমি তার ওপর ভরসা করে মিস ইন্টারন্যাশনালের মতো বড় প্যাজেন্ট পাঠাচ্ছি। আমি আশাবাদী সে ভালো কিছু করবে। তবে তার জন্য বাংলাদেশের মানুষের সাপোর্ট দরকার। কারণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোতে তারা দেখতে চায়, যে মেয়েটা গেছে তাকে তার দেশের মানুষ কতোটা সাপোর্ট করে। এজন্য সবাই তাকে ভোট দিয়ে পাশে থাকবেন বলে আমি প্রত্যাশা করি।’
আজরা জানান, জাপানের শীর্ষ সৌন্দর্য এবং পারসোনাল কেয়ার ব্র্যান্ড শোকুবুতসু এবার মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৪-এর অফিসিয়াল স্পন্সর হিসাবে থাকছে। আমরা আশা করছি শোকুবুতসুর সহযোগিতায়, মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৪ অন্যতর উচ্চতায় উন্নীত হবে।
এতো বড় ও সম্মানজনক একটি বিউটি পেজেন্টে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে এফা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি বরাবরই চেয়েছি দেশকে মডেলিংয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রিপ্রেজেন্ট করতে। আজরা আপু আমাকে সেই সুযোগটি তৈরি করে দিয়েছেন, এজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আমি আমার শতভাগ শততা ও পরিশ্রম দিয়ে দেশের সুনাম রক্ষা করার চেষ্টা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুধু মডেলিংটাই করে যেতে চাই আজীবন। এজন্য এ ধরনের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা আমার চলার পথকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে মনে করি। বিশ্বের ৭০টি দেশের মেধাবী মেয়েদের সঙ্গে একই জায়গায় থাকা, গ্রুমিংসহ কতো অভিজ্ঞতা হবে। এসব নিয়ে আমি খুব এক্সাইটেড। কারণ, ছোটবেলা থেকেই আমি বিউটি কুইন হতে চেয়েছি। এজন্য এতো বছর ধরে নিজেকে নানা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তৈরি করেছি। এখন তা আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার পালা। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আর প্লিজ আমাকে ভোট দিয়ে পাশে থাকবেন।’
এ মাসের শেষ দিকেই জাপানের রাজধানি টোকিওতে বসবে মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৪-এর আসর। এ বছরের মূল থিম ‘সাটেইনেবিলিটি ইন পেজেন্ট্রি’। এই থিমকে বেছে নেওয়ার কারণ জাপানের জাতীয় সংস্থাগুলোকে স্বাধীন, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আত্মবিশ্বাসী হতে উদ্বুদ্ধ করা।