সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে একে অপরের প্রেমে পড়েন হলিউডের অন্যতম বড় দুই তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিট। এর পর দীর্ঘ ১০ বছর প্রেমের পর ২০১৪ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই পাওয়ার কাপল। কিন্তু বিয়ের মাত্র দুই বছর পর বিচ্ছেদ হয় তাদের। স্বামী ব্র্যাড পিটের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। বিচার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিনেত্রী।
এরপর ছয় সন্তানের অভিভাবকত্ব, সম্পত্তির মালিকানা, মানহানির অভিযোগ নিয়ে হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিট গত কয়েক বছর ধরে সংবাদের শিরোনাম হয়েছে। ২০১৯ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হলেও পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলা চলছে দীর্ঘদিন।
অবশেষে সব অভিযোগ তুলে নিয়ে নিজের কাজে মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতে এফবিআইর বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এফবিআইর কাছে অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রাইভেট জেটে চড়ে সন্তানদের নিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছিলেন তারা। ফেরার পথে জোলির সঙ্গে ব্র্যাড পিটের তর্ক হয়। একপর্যায়ে জোলিকে ধাক্কা দেন পিট, তার মাথা ধরে ঝাঁকান। বাচ্চাদের ওপরও চড়াও হন। এক বাচ্চার গলা টিপে ধরেন, অন্যজনের মুখ চেপে ধরেন। এ ছাড়া জোলি ও সন্তানদের গায়ে মদ ছুড়ে মারেন পিট।
জোলির অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে এফবিআই ও লস অ্যাঞ্জেলেস কান্ট্রি ডিপার্টমেন্ট অব চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি সার্ভিসেস। একই বছরের নভেম্বরে এফবিআইর এক মুখপাত্র জানান, এ ঘটনায় পিটের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাননি তারা, ফলে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হচ্ছে না। এরপর ২০২২ সালে এ তদন্তের নথি খতিয়ে দেখার দাবি তোলেন জোলি। অবশেষে এফবিআইর বিরুদ্ধে আদালতে করা অভিযোগটি তুলে নিলেন অভিনেত্রী।
২০০৫ সালে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ সিনেমা করতে গিয়ে কাছাকাছি আসেন ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। মিডিয়ায় এ জুটি পরিচিতি পেয়েছিল ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’ নামে।