ঈদের সিনেমা ‘তুফান’-এর আইটেম গান ‘দুষ্টু কোকিল’ এখন দারুণ আলোচনায়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনার গাওয়া এই গান গড়ছে নানা রেকর্ড। অফিসিয়াল দুটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশের মাত্র একদিনের মাথায় গানটি ৫ মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম করে। এখন পর্যন্ত ভিউ প্রায় ১২ মিলিয়ন।
শুধু তাই নয়, গত শনিবার রাত থেকে গানটি উঠে এসেছে বাংলাদেশের ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে! এর আগে ট্রেলারে অল্প কিছু অংশতেই বাজিমাত করে ‘দুষ্টু কোকিল’! মোটামুটি অনুমেয়ই ছিল যে গানটি মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসবে! হলোও তাই। আকাশ সেনের সুর, কথা ও সংগীতে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সংগীতশিল্পী কনা। পারফর্ম করেছেন ‘তুফান’-এর নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। শাকিব খানকেও দেখা গেছে।
এগুলো তো গেল সাধারন দর্শকের থেকে পাওয়া রি-অ্যাকশন। এবার কনা যে শিল্পীকে নিজের গানের জীবনের আইডল মনে করেন সেই কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লাও করলেন গানটির প্রশংসা।
আগামীকাল রুনা লায়লা তার সঙ্গীত ক্যারিয়ারের ৬০ বছর পার করবেন। এ প্রসঙ্গে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলার সময় উঠে আসে সাম্প্রতিক সময়ের সিনেমার গানের প্রসঙ্গও। তখন রুনা লায়লাকে আলোচিত গান ‘দুষ্টু কোকিল’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘গানটি আমি শুনেছি। সবার মতো আমারও গানটি ভালো লেগেছে। আসলে ভালো গান হলে তা সবাই পছন্দ করবে। এই গানের কথা, সুর ও সঙ্গীতায়োজন ভালো হয়েছে। তাই দর্শক সহজে গানটি আপন করে নিয়েছে।’
রুনা লায়লা আলাদা করে কনার প্রশংসা করে বলেন, ‘গানটির গায়িকা কনা আমার স্নেহের মানুষ। সে আমাকে অনেক বেশি শ্রদ্ধা করে। গানটি মুক্তির পর সেই আমাকে লিংক পাঠায়। আমি শুনে তাকে বলেছি, কনা আমার গানটি পছন্দ হয়েছে। তুমি ভালো গেয়েছো। তোমার এক্সপ্রেশনগুলো গানটির সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে গেছে। কনার জন্য দোয়া থাকলো, সে যেন আরও ভালো ভালো গান আমাদের উপহার দেয়।’
বিষয়টি কনাকে জানানোর পর তিনি ভীষণ আপ্লুত হয়ে পড়েন। বার্তা২৪.কমকে কনা বলেন, ‘আসলে আমি রুনা লায়লার কতো বড় ভক্ত তা তিনি জানেন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে প্রায় সব ইন্টারভিউতে বলে আসছি আমার গানের আইডল রুনা লায়লা ম্যাডাম। তিনি অসম্ভব ভার্সেটাইল একজন শিল্পী। তিনি যেমন জটিল ক্ল্যাসিক্যাল গানে পারদর্শী, তেমনি মিষ্টি রোমান্টিক গানেও তার কণ্ঠ পারফেক্ট। তিনি গজল যেমন অসাধারন গাইতে পারেন তেমনি চটুল কথার গানগুলোও তার কণ্ঠে অণ্যরকম মাদকতা তৈরী করে। আমি যেহেতু তাকে অনুসরন করি, তাই আমার কাছে যে ধরনের গানই আসুক না কেন আমিও চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে থাকি। এজন্য রোমান্টিক কিংবা স্যাড গানের পাশাপাশি আমাকে আইটেম গানেও পাওয়া যায়।’
কনা আরও বলেন, ‘গানটি রুনা লায়লা ম্যাডাম পছন্দ করেছেন, এটি আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। কারণ তিনি নিজেই আস্ত একটা গানের ইনস্টিটিউশন। তার প্রশংসা পাওয়া কোন অ্যাওয়ার্ডের চেয়ে কম কথা নয়। তাকে গানটি পাঠানোর পর তিনি আমাকে তার ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন, আমাকে দোয়াও করেছেন। তবে সেই অনুপ্রেরণা আমি একান্তই নিজের মধ্যে রাখতে চেয়েছিলাম। যেহেতু আপনি নিজেই তার কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছেন এখন আমার বলতে কোন দ্বিধা নেই যে রুনা ম্যাডাম দুষ্টু কোকিল-এর প্রশংসা করেছেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’