আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে চরকি অরিজিনাল ফিল্ম ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’। মিনিস্ট্রি অফ লাভ-এর দ্বিতীয় এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন। সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন প্রীতম হাসান ও তাসনিয়া ফারিণ। এই সিনেমায় দেখা মিলবে নতুন মুখ রূপন্তী আকিদ-এর। এছাড়াও এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন সমাপ্তি মাশুক, খলিলুর রহমান কাদেরী, শিরিন আলম, শুভজিৎ ভৌমিক, ও শাহীন শাহনেওয়াজ প্রমুখ। ইতিমধ্যে ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’-এর পোস্টার, গান ও ট্রেইলার দর্শক পছন্দ করছে।
‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’-এর চমকপ্রদ যত সব ঘটনা:
শিহাব-আব্বা
গল্পে গল্পে ফারিণ-প্রীতম বলছিলেন তারা নাকি পরিচালককে ‘শিহাব-আব্বা’ বলে ডাকতেন। কারণ পুরা শ্যুটিং-এ পরিচালক শিহাব শাহীন নাকি বাবাদের মতো আচরণ করেছে মানে বাবাদের মতো শাসন করেছেন। অস্ট্রেলিয়াতে শ্যুট শেষ করে যখন সবাই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যেতো পরিচালক সাহেব তখন বসে থাকতেন ঘরে। আর সবাইকে ফোন দিয়ে- ‘কখন ফিরবা?’, ‘বাইরে কিছু খেয়ো না’, ‘তাড়াতাড়ি বাসায় আসো’-এরকম নানান কথা বলতে থাকতেন।
হাইওয়ে-তে স্কুটি নিয়ে প্রীতম
অট্রেলিয়াতে শ্যুট শেষ করে প্রীতম একদিন একা একা স্কুটি নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। স্কুটিতে নিয়ে যেতে যেতে তিনি এম-টু হাইওয়ে নামে একটা এক্সপ্রেস ওয়েতে উঠে গেছিলেন। প্রীতম বলেন, ‘ আমি যখন ওই রাস্তায় উঠছি তখন বুঝি নাই যে এটা এতো বড় হাইওয়ে রাস্তা। সেখানে সর্বনিম্ন গাড়ি চালানোর স্পিড ছিল ১০০ কিমি। আর আমি স্কটি চালাচ্ছিলাম ৬০-৮০ স্পিডের মধ্যে। আমার পাশ দিয়ে সব সাই সাই করে সব গাড়ি চলে। আমি সেদিন কি যে ভয় পাইছিলাম বলে বোঝানোর মতো না।‘
নামের ভুলে ভিসা পাননি ফারিণ
‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’-এর বড় অংশের শ্যুট হয়েছে রাজশাহীতে আর বাকি শ্যুট হয়েছে অস্ট্রেলিয়াতে। শ্যুটের সুবাদেই অভিনেতা ও কলাকুশলীসহ বড় একটা টিম গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে যেতে গিয়ে সবাই ভিসা পেয়েছিল ঠিকঠাক। তবে বিড়ম্বনায় পড়েন তাসনিয়া ফারিণ। কারণ হিসেবে পরিচালক বলেন, ‘আমরা সবাই ঝামেলা ছাড়াই ভিসা পেলাম। কিন্তু ফারিণের জন্য আমাদের শ্যুট পেছাতে হলো। কেননা ফারিণের ফেসবুকে নাম ছিল তাসনিয়া ফারিণ আর তার পাসপোর্টে নাম ছিল ভিন্ন। সে জন্য প্রথমে রিজেক্ট হয়েছিল তার ভিসা।‘
অবশ্য পরবর্তীতে সে সমস্যার সমাধান হয়। ফারিণ অস্ট্রেলিয়া যান। ভালোভাবে শ্যুট শেষ করেন।
রাজশাহী ও অস্ট্রেলিয়ায় শ্যুট
রাজশাহী ও অস্ট্রেলিয়ার দুই জায়গাতে প্রেমের গল্প বলার মতো দারুণ সব জায়গা পেয়েছেন বলে জানান পরিচালক শিহাব শাহীন। পরিচালক বলেন, ‘আমাদের সিনেমার গল্পটাই এমন যে, মফস্বল থেকে একদম শহর পর্যন্ত চলবে প্রেমের কাহিনী। সেই সাথে এই দুই জায়গাতেই সবার এতো এতো হেল্প পেয়েছি তাতে আমাদের কাজটা আরও সহজ হয়েছে।‘