অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান চিত্রনায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খান।এ নিয়ে দুদিন ধরে আলোচনা-সমালোচনা চলছে চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু যাকে নিয়ে এই দুই চিত্রনায়ক দ্বন্দ্বে জড়ান সেই চিত্রনায়িকা মৌসুমী অবশেষে মুখ খুলেছেন।
শুক্রবার (১৩ জুন) অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান চিত্রনায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খান। সানির দাবি অনুষ্ঠানে পিস্তল বের করে সানীকে গুলি করার হুমকি দেন জায়েদ। যদিও আগে অনুষ্ঠানে ঢুকে জায়েদকে দেখতে পেলে তাকে চড় মারেন সানী। এ সময় জায়েদের উদ্দেশে সানী বলেন, ‘তোরে না নিষেধ করছি, আমার বউরে (চিত্রনায়িকা মৌসুমী) ডিস্টার্ব করবি না।’ জবাবে কোমর থেকে তাৎক্ষণিক পিস্তল বের করেন জায়েদ। বলেন, ‘গুলি করে দেব।’
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে রোববার (১২ জুন) রাতে সংসার ভাঙা ও পিস্তল দেখিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ওমর সানি।
সোমবার (১৩ জুন) গণমাধ্যমে এই চিত্রনায়িকার ভাষ্য,আমি মনে করি আমার প্রসঙ্গটা টানার কোনো প্রয়োজন ছিল না। আমি জায়েদকে অনেক স্নেহ করি ও আমাকে যথেষ্ট সম্মান করে। আমাদের মধ্যে যতটুকু কাজের সম্পর্ক, সেটা খুবই ভালো একটা সম্পর্ক। সেখানে ও আমাকে অসম্মান করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আর ওর মধ্যে গুণ ছাড়া এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে এমন কিছুই আমি দেখিনি। তারপর বলব ও অনেক ভালো ছেলে। সে কখনই আমাকে অসম্মান করেনি।’
মৌসুমী বলেন, কেন এই প্রশ্নটা বারবার আসছে, সে আমাকে বিরক্ত করছে- উত্ত্যক্ত করছে, এই জিনিসটা আমার আসলে... জানি না এটা কেন হচ্ছে। এটা যদিও একান্ত আমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। সে সমস্যা আমাদের পারিবারিকভাবেই সমাধান করা দরকার ছিল।
এই অভিনেত্রী বলেন, আমি মনে করি, এখানে জায়েদের খুব একটা দোষ আমি পাইনি। আরেকটা কথা বলতে চাই, আমাকে ছোট করার মধ্যে আমাদের... যাকে আমরা অনেক শ্রদ্ধা করে আসছি সেই ওমর সানী ভাই কেন এত আনন্দ পাচ্ছেন- সেটা আমি বুঝতে পারছি না। আমার কোনো সমস্যা থাকলে অবশ্যই আমার সঙ্গে সমাধান করবে, সেটিই আমি আশা করি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মৌসুমী আরও বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিক ভাইরা আসলে একটা নিউজ পেলে, কথা না বলেই প্রকাশ করেন। এটা আসলে ঠিক না। এটা আসলে আলোচনা করা উচিত। যেহেতু আমার প্রসঙ্গ আসছে, তাই বিষয়টি আমার সঙ্গে আলোচনা করে নিতেন, তাহলে হয়তো প্রসঙ্গটা লিখতেনই না। তিনি (সানী) আসলে এক তরফা বলেছেন, কিন্তু আমি বলেছি কি-না, আমি অভিযোগ করেছি কি-না; জানাটা খুব বেশি জরুরি