ঘুরতে ঘুরতে একদিন এক দম্পতি এমন একটা গ্রামে গিয়ে পৌঁছায় যে গ্রাম থেকে নাকি প্রতিটা বাংলা কুসংস্কারের উৎপত্তি হয়। একটার চেয়ে আরেকটার পেছনের গল্প অদ্ভুত, আরও বেশি আজব। কি সেই কুসংস্কারের গল্পগুলো? সেগুলো কি কেবলই গল্প? সেগুলো জানা যাবে ‘লোকে বলে’ পর্ব থেকে।
সাইকোলজিক্যাল হরর ঘরানার ৪টি ভিন্ন গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে দারাজ নিবেদিত চরকি অরিজিনাল অ্যান্থোলজি সিরিজ ‘ষ’। মুখে মুখে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার, লোককথার প্রেক্ষাপটে বর্তমান আবহে তৈরি এই অ্যান্থোলজি সিরিজ। এই সিরিজের তৃতীয় পর্ব ‘লোকে বলে’ মুক্তি পাবে আগামী ২১ এপ্রিল রাত ১০টা ৫৯মিনিটে।
এটি পরিচালক নুহাশ হুমায়ূনের তৈরি প্রথম ওয়েব সিরিজ। এছাড়া নুহাশ পরিচালিত এই সিরিজটির মাধ্যমে চরকি এই প্রথম ভৌতিক ঘরানার কোনো কনটেন্ট মুক্তি দিতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে পেট কাটা ‘ষ’-এর মুক্তি পাওয়া দুটি পর্ব ‘এই Building এ মেয়ে নিষেধ’ ও ‘মিষ্টি কিছু’ দর্শক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
‘লোকে বলে’ পর্বে দেখা মিলবে মোরশেদ মিশু, সাঈদা তাসলিমা হাসান নদী, প্রণয় দেব উচ্ছাস তৌফিকুল ইমন, গীতশ্রী চৌধুরীকে।
কার্টুনিস্ট হিসেবে পরিচিত মোরশেদ মিশুর দেখা মিলবে এই পর্বে। তিনি বলেন, ‘আমি পেশায় একজন কার্টুনিস্ট কিন্তু ক্যামেরার সামনে অভিনয় করার চেষ্টা এবারই প্রথম। আমি একই সাথে নার্ভাস এবং এক্সাইটেড। উন্মাদ ম্যাগাজিনে আমার আঁকা কার্টুন যখন প্রথমবার ছাপা হয়, সেইরকম অনুভব করতেছি। ‘সেসময় যেমন সিনিয়র কার্টুনিস্টদের নামের পাশে নিজের নাম দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছিলাম এবারও তেমন আফজাল হোসেন, চঞ্চল চৌধুরী, নওশাবা আহমেদ, সোহেল মন্ডলের মত অভিনয় শিল্পীদের নামের সাথে নিজের নাম দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছি।’
মিশু আরও বলেন, ‘নুহাশ হুমায়ূন আমার পছন্দের নির্মাতাদের মধ্যে একজন। প্রথমবারেই তার সাথে কাজ করতে পারাটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। এখন আশা করতেছি চেনা মানুষ, অচেনা মানুষ, কাছের মানুষ, দূরের মানুষ, সবাই কাজটা দেখবে। জী ধন্যবাদ।’
সাঈদা তাসলিমা হাসান নদী বলেন, ‘পেট কাটা ষ সিরিজের লোকে বলে গল্পে কাজ করার অভিজ্ঞতা দূর্দান্ত। বেশ কিছু প্রতিভাবান মানুষের সংস্পর্শে এসে তাদের কাজ করার প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হতে পারাটা আমার জন্য ছিলো এ কাজের বাইপ্রডাক্ট। সেই সাথে যারা লোকেশানটা খুঁজে বের করেছেন পরিশ্রম করে তাদের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। সবকিছু মিলিয়ে আশা থাকবে দর্শক লোকে বলে দেখুক। জানার আগ্রহ থাকবে লোকে কি বলে লোকে বলে দেখে।’
সিরিজের নাম কেন পেটকাটা ষ দিয়েছেন এমন প্রশ্নে নুহাশ হুমায়ূন বলেন, ‘মূর্ধন্য ষ-কে আমরা সবাই ছোটবেলা থেকে পেটকাটা ষ বলি। কেউ বাংলা ভাষা শিখলেই এই অক্ষরটাকে পেটকাটা ষ বলে ও চিনে। কিন্তু কেন? কোনো বাংলা বই বা কোথাও কিন্তু পেটকাটা ষ লেখা নেই। খুব ভৌতিক একটা অদ্ভুত নাম। কিন্তু কেমন করে যেনো লোককথার মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জিনিষটা খুব পরিচিত হয়ে গেছে। ‘আমার কাছে মনে হয়েছিল এই ভূতের গল্পগুলোও একই রকম। কোথাও লেখা নেই। পুরাটা লোককথা। কিন্তু মুখে মুখে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে গেছে। সো ফাইনালি, পেটকাটা ষ-কে পেটকাটা ষ বলতে চাই; লিখতে চাই। আর ভূতের গল্পগুলোকে আমার মতো করে আধুনিকভাবে একত্রিত করতে চাই।’
চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘চরকি সব সময় চেষ্টা করে দর্শকদের মৌলিক ও ভিন্ন কনটেন্ট উপহার দেয়ার। ভৌতিক বা হরর কনটেন্ট চরকির পর্দায় এর আগে দর্শক দেখেনি। আশা করছি, সিরিজ ‘ষ’ দেখে দর্শক হতাশ হবে না।’