অনুষ্ঠিত হলো টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) অ্যাওয়ার্ডের ২৭ তম আসর। ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মোট ১৩টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্নগুণীজনকে সম্মানিত করা হয় এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে। এতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
পরে প্রধান অতিথি হিসেবে হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে তিনি বলেন, “গুণীজনদের সম্মান দেখানো না হলে নতুন গুণীজন সৃষ্টি হয় না। আমরা একটি বহুমাত্রিক সমাজে বসবাস করি, যেখানে কৃষ্টি সংস্কৃতিতে আমরা অনেক এগিয়ে। সংস্কৃতিতে আমরা বিশ্বের অনেক দেশের থেকে উন্নত। ভারতবর্ষের একজন বাঙালি হয়ে এদিক থেকে আমরা গর্বিত।”
তিনি বলেন, শুধুমাত্র আর্থিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি তার আত্মিক উন্নয়ন প্রয়োজন। সেজন্যে আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে যারা সামনে এগিয়ে নিচ্ছেন, তাদের সম্মানিত করা প্রয়োজন।
এ আসরে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত বিশ্বসুন্দরী। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন বহুল আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। একই চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ নায়ক হয়েছেন চিত্রনায়ক সিয়াম।
এসময় বিভিন্নক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পাঁচজনকে দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা। এতে সাংবাদিকতায় আজীবন সম্মাননা পান বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, প্রকৃতিতে মুকিত মজুমদার, সমাজ উন্নয়নে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও শিক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হামিদা খানম।
বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয় এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে। অনুষ্ঠানে চিন্ময় মুৎসুদ্দীকে দেওয়া হয় আহমেদ জামান চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ও সৈয়দ শামসুল হক স্মৃতি পুরস্কার পান নাট্যজন আতাউর রহমান।
এছাড়া চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নৃত্য, সংগীত ও মঞ্চসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনের বিভিন্নজনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক সিঙ্গার (পুরুষ) ইমরান, শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক (নারী) দিলশাদ নাহার কনা। “টুঙ্গীপাড়ার মিঞা ভাই” চলচ্চিত্রের জন্য বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন প্রযোজক সেলিম খান, পরিচালক শামীম আহমেদ রনি, ইফতেখার চৌধুরী ও শাহীন সুমন। টকশো “কথায় কথায়” এর জন্য বিশেষ সম্মাননা পান তাশিক আহমেদ।
শ্রেষ্ঠ নাট্যাভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন জাহিদ হাসান ও রাশেদ সীমান্ত। শ্রেষ্ঠ নাট্য পরিচালক হিসেবে সালাহউদ্দিন লাভলু, অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী সম্মাননা পান।
শ্রেষ্ঠ সংগীত শিল্পীর সম্মাননা পান আঁখি আলমগীর ও আসিফ আকবর। এছাড়া শ্রেষ্ঠ মঞ্চনাটক “দ্রৌপদী পরম্পরা”, শ্রেষ্ঠ মঞ্চাভিনেতা সেলিম মাহবুব, শ্রেষ্ঠ মঞ্চাভিনেত্রী তনিমা হামিদ, শ্রেষ্ঠ নির্দেশক অধ্যাপক মলয় ভৌমিককে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এগুলো সহ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শতাধিক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান কে সম্মাননা প্রদান করে ট্রাব।