জনপ্রিয় উপস্থাপক, নির্মাতা ও রম্য লেখক হানিফ সংকেতের জন্মদিন আজ (২৩ অক্টোবর) । ১৯৫৮ সালের এ দিনে বরিশালের বসুরহাটে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন জননন্দিত এ তারকা। ফিরতি ধন্যবাদও জানিয়েছেন হানিফ সংকেত।
শনিবার বিকেলে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্টে হানিফ সংকেত লিখেছেন- “আমার জন্মদিন নিয়ে তেমন কোন প্রচার-প্রচারণা না থাকা সত্ত্বেও এই ব্যস্ততম জীবনে আমার এই জন্ম তারিখটি মনে রেখে যারা আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন-সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। আপনাদের এই অকৃত্রিম ভালোবাসাই আমার চলার পথের পাথেয়।”
“যতদিন বাঁচি, বাঁচি যেন ভালোবাসা নিয়ে, বাঁচি যেন হৃদয়ের উত্তাপ বিলিয়ে।”-যোগ করেন হানিফ সংকেত।
দর্শকের অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়েই বিগত বত্রিশ বছর ধরে হানিফ সংকেতের উপস্থাপনা ও পরিকল্পনায় নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’। প্রয়াত ফজলে লোহানীর ‘যদি কিছু মনে না করেন’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান দিয়ে তার পথচলা শুরু। এরপর দেশের সবচেয়ে জনিপ্রয় ম্যাগাজিন ইত্যাদি দিয়ে তিনি রাজত্ব করে চলেছেন। সমাজের নানা অসঙ্গতিকে মজার ছলে ইত্যাদিতে তুলে ধরেন হানিফ সংকেত। বিবিসির জরিপ বলছে, বিশ্বের ৭৫ শতাংশ বাঙালি ‘ইত্যাদি’ দেখেন।
নিজের কাজের বিষয়ে খুবই যত্নশীল হানিফ সংকেত। নাটক পরিচালনাতেও নিজের মুন্সিয়ানা বজায় রেখেছেন। তার পরিচালিত জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে ‘আয় ফিরে তোর প্রাণের বারান্দায়’, ‘দুর্ঘটনা’, ‘তোষামোদে খোশ আমোদে’, ‘কিংকর্তব্য’, ‘কুসুম কুসুম ভালোবাসা’, ‘শেষে এসে অবশেষে’ উল্লেখযোগ্য।
চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন হানিফ সংকেত। বেশ কয়েকটি ব্যঙ্গ ও রম্য রচনা লিখেছেন তিনি।‘চৌচাপটে’, ‘এপিঠ ওপিঠ’, ‘ধন্যবাদ’, ‘অকাণ্ড কাণ্ড’, ‘খবরে প্রকাশ’, ‘ফুলের মতো পবিত্র ’, ‘প্রতি ও ইতি’, ‘আটখানার পাটখানা’ অন্যতম।
সামাজিক কার্যক্রমের জন্য ২০১০ সালে একুশে পদক পুরস্কার পান হানিফ সংকেত। এছাড়া পরিবেশ শিক্ষা ও প্রচারের জন্য ২০১৪ সালের জাতীয় পরিবেশ পদক দেয়া হয় তাকে। সেই সাথে দেশে-বিদেশে বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন হানিফ সংকেত।