‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশে’র প্রথম রানার্স আপ নির্বাচিত হয়েছিলেন ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের মেধাবী ছাত্রী অনন্যা।
বর্তমান অবস্থা এবং পূর্বের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা বার্তা২৪.কমকে জানান, “সত্যি বলতে ‘মিস ইউনিভার্স’ এর অভিজ্ঞতাটা অনেক সুন্দর ছিলো। অনেক কিছুই শিখতে পেরেছি, অনেক অভিজ্ঞ ট্রেইনার ও মডেলদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। যদিও অনেক চাপ থাকতো কারণ কিছুদিন পরপরই আমাদের স্টেজ পারফরম্যান্স হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয়েছে এই চাপ থাকার ফলেই অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।”
যোগ করে অনন্যা বলেন, “যখন প্রথম ২০ জন ক্যাম্পে ছিলাম, তখন সবার থেকেই অনেক কিছু শিখেছি। সবাই বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে এখানে এসেছে। তাদের ভেতর ছিলো ডাক্তার, উকিল, মডেল, নায়িকা। বলতে গেলে তাদের সবাই অনেক কিছু শিখাতে সাহায্য করেছে আমাকে।”
“তাছাড়া তাহসান স্যার এবং বিদ্যা সিনহা মিম ম্যাম অনেক কিছু শিখিয়েছেন। সবশেষে আমি একটুও আশা করিনি আমি ২য় এবং ‘মিস কনজিনিয়ালিটি’তে নিজের স্থান দখল করবো। আমি সকলের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ এবং এই যাত্রাটা অনেক সুন্দর ছিলো।”
বর্তমানের কি করছেন জানতে চাইলে অনন্যা বলেন, “এখন আপাতত আমি মডেল হিসেবে কাজ করছি, আর যেহেতু এখন করোনার কঠিন সময় পার করছি আমরা। তাই এগুলোর বাইরে বলা যায় আমি কোভিড ফ্রন্ট লাইনার হিসাবেও কাজ করছি। বিগত এক বছরে প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে সাহায্য করতে পেরেছি। আর এই কাজটা চলতে থাকবে।”
ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? এ প্রসঙ্গে অনন্যা বলেন, “আমার মানুষদের সাহায্য করতে অনেক ভালো লাগে। বলা যায় ‘মিস ইউনিভার্স’-এ যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে সচেতন করা৷ যার জন্য একটা বড় প্লাটফর্মের দরকার ছিলো যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে তুলে ধরা যাবে। বিচারকরা আমার এই উদ্দেশ্যটা অনেক পছন্দ করেছিলেন। আমি আশা করি একদিন বাংলাদেশকে চিত্রিত করবো এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা সচেতন নিয়ে কাজ করে যাবো। স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করবো যেটি বিগত ৭ বছর ধরে করে আসছি। পাশপাশি মিডিয়াতে কাজ করবো।”
“এগুলোর জন্য আমি আমার পড়ালেখাকে প্রথমে অগ্রাধিকার দিবো। এখন মডেলিং শুরু করেছি এবং আমার ইচ্ছে যে, আমি একদিন ভালো সুপার মডেল হবো। সামনের দিনের চিন্তা করতে গেলে আমি মডেলিংকে গুরুত্ব দিচ্ছি এছাড়া অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমার অনেক কৌতূহল আছে। তাছাড়া ভালো লাগার কাজগুলোর ভেতর নাচ করতে অনেক ভালোবাসি এবং স্বেচ্ছাসেবীর কাজটা ভীষণ ভালো লাগে।”