সাকিবের সাথে ছবি তুলতে চট্টগ্রাম থেকে মাগুরায় যুবক

, নির্বাচন

রাজু আহম্মেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম | 2024-01-01 09:51:00

মাগুরা-১ আসন থেকে: আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়ে মাগুরার পথে প্রান্তরে ঘুরে বেরাচ্ছেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নৌকার মাঝি হয়ে আসলেও সাকিবকে সবাই দেখছেন বিশ্ব সেরা হিসেবেই। তাই তো কাছে গিয়ে হাত মেলানোর ইচ্ছা আর ছবি তোলার আবদার সবার। সাকিবও মাগুরা বাসীকে আপন করে পূরণ করছেন ভক্তদের ইচ্ছা।

তবে সাকিবকে এভাবে কাছে পাওয়ার ইচ্ছা তো কোটি ভক্তের, তাই মাগুরারবাসীর কাছে আসাটাকে সইতে না পেরে তাকে দেখতে শত শত মাইল অতিক্রম করে এসেছেন সাকিবের পাগল ভক্তের অনেকেই। তাদের মধ্যে রয়েছেন চট্রগ্রামের সিফাত ও বরিশাল ঝালকাঠির বাইজিদ তালুকদার।

মাগুরাবাসীর এত কাছে সাকিব, ফেসবুকে এসব দেখে সইতে না পেরে শত কিলোমিটার দূর থেকে মাগুরার ছুটে এসেছেন তারা। ইচ্ছা ছিল একবার হলেও হাত মেলাবেন সাকিবের সাথে। ৩ দিন ৩ রাত অপেক্ষার পর অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাদের। প্রিয় খেলোয়াড়ের হাত ছুঁয়েছেন, তুলেছেন ছবিও।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) মাগুরার জেলা সদরের ভায়না মোড় এলাকায় কথা হয় সাকিবের পাগল দুই ভক্তের সাথে। বার্তা২৪.কমকে তারা জানান ছোট বেলা থেকে দেখা স্বপ্ন পূরণের গল্প।


বাবা মায়ের কাছে অনেক কষ্টে অনুমতি নিয়ে গত ২৭ ডিসেম্বর মাগুরায় এসেছিলেন বাইজিদ তালুকদার। সাকিবের সাথে প্রথমদিন দেখা হওয়ার সুযোগ হলেও স্থানীয় কিছু মানুষের জন্য হারিয়ে ফেলে সে সুযোগ। কিন্তু হাল না ছেড়ে অপেক্ষা করেন পাঁচদিন। সাকিবকে পেতে রাত দিন ঘুরেছেন মাগুরার পথ প্রান্তর ও সাকিবের বাড়ির আশেপাশে।

বাইজিদ বলেন, 'আমি ফেসবুকে দেখি সাকিব ভাই সবার কাছে। সবার সাথে সেলফি তুলছে। আমার সহ্য হচ্ছিলো না। এতদিন আমি ভাইকে ভালোবাসি। তাকে আমি কাছ থেকে দেখতে পারছি না আর মাগুরাবাসী হাত মেলাচ্ছে আমি জাস্ট হিংসায় আম্মুর হাতে পায়ে ধরে সোজা চলে আসছি। রাতে একটা গ্রুপ করি সেখানে সাকিব ভক্তদের এড করে তাদের বলি আমি যাব। অনেকেই আমার সাথে আসেন কিন্তু তারা চলে গেছেন।' 

এদিকে চট্রগ্রামের সিফাতের গল্পটাও সহজ নয়, সাকিবকে পেতে তাকেও অপেক্ষা করতে হয়েছে কঠিন সময়। প্রথমদিন কাছ দেখার সুযোগ পেয়েও সুযোগ হারিয়ে ফেলেন, কান্না করেছেন তাকে ছুতে না পারার কষ্টে। অবশেষে হাতে হাত মেলানো, আর সাকিবের সাথে সেলফি তুলতে পেরে আনন্দিত সে।


সিফাত বলেন, 'সাকিব ভাই খুব ভালো। তাকে এতদিন ভালোবেসে আমি ভুল করিনি। আমাদের কাছে গিয়ে ছবি তোলার সুযোগ করে দিয়েছে। আমি সইতে না পেরে চলে আসি এই ঠান্ডায়। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছি শুধু সাকিবকে ভাইকে কাছ থেকে দেখ৷ বলে। আমার স্বপ্ন টা পূরণ হয়েছে। আমার আর কোন দুঃখ নাই। এই কদন যে কষ্ট করছি তা এখন আর মনে নাই।' 

নিজের স্বপ্ন পূরণ শেষে রোববার নিজ নিজ বাড়িতে ফেরেন সিফাত ও বাইজিদ। তাদের স্বপ্ন পূরণ হলেও মাগুরায় এসে ছবি তুলতে না পেরে ফিরে গেছেন অনেকে।

খেলোয়াড় হয়েও যে মানুষের ভালোবাসা কুড়ানো যায় তার জ্বলন্ত উদাহরণ মাগুরার নোমানি ময়দান থেকে বিশ্ব সেরা হওয়া সাকিব আল হাসান। দেশে যেমন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে আছেন এই হ্যামিলনের বাঁশি ওয়ালা। তেমনি দেশের বাইরেও আছেন তার কোটি ভক্ত। তবে সবার হৃদয় ভেঙে সাকিব আপন হয়েছেন মাগুরাবাসীর। সামনে এই মাগুরার অভিভাবক হয়েই থাকবেন সবার সাথে। তবে সাকিব কোটি ভক্তের হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণ থামাবে কিভাবে?

এ সম্পর্কিত আরও খবর