এইচএসসির ফলাফল প্রত্যাখান করে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছে ফেল করা শিক্ষার্থীরা। এতে অফিসের ভিতরে থাকা কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১২টা থেকে শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও কর্মসূচির একপর্যায়ে বেলা ২টার দিকে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
শিক্ষার্থীদের অবস্থানের দুপুরের শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্য কর্মকর্তারা প্রধান ফটকে এসে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে, শিক্ষার্থীর হট্টগোল করে ভেতরে ঢুকে পড়েন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিতে গিয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের বলেন, দাবিগুলো জেলা প্রশাসক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। আমরাও জানিয়েছি। ওপর থেকে সিদ্ধান্ত না এলে এখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন। বেলা দুইটার দিকে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। সকাল থেকে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা থাকলেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো তর্কে জড়াননি পুলিশ সদস্যরা। পরে বিকাল ৫টার দিকে বোর্ড কর্মকর্তাদের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের বলেন, কিছু শিক্ষার্থী এসে অবস্থান শুরু করে। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো ধরনের নির্দেশনা পাইনি। আগামী ২৭ তারিখ মন্ত্রণালয়ে সমন্বয় কমিটির মিটিং আছে। সেই মিটিংয়ে আমাদের বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা বিষয়টা নিয়ে আলোচনা তুলবেন। আমরা বোর্ডের ভেতরে আছি। বোর্ডের প্রধান ফটকে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আমরা তো তাদের সঙ্গে জোরাজুরি করতে পারব না।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা আছে। তবে, শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের কোন ঝামেলা হয়নি। ৫ ঘণ্টা অবরোদ্ধ থাকার পর বিকাল ৫টায় বোর্ড কর্মকর্তাদের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা ছেড়ে আন্দোলন ছেড়ে চলে যায়। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।
এর আগে গত রোববার (২০ অক্টোবর) এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষা বোর্ড অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে ওই দিন এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়ার দাবিতে ১০ ঘণ্টা শিক্ষা বোর্ডে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন রাত ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক তাদের যৌক্তিক দাবি লিখিতভাবে আবেদন করার কথা বললে শিক্ষার্থীরা যে যার মতো চলে যান। পরে বোর্ডের কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় অফিস থেকে বাসায় ফেরেন।