গাজীপুরের চন্দ্রায় করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব স্থাপন করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। এই করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে দিনে ৪ শ জন পরীক্ষা করতে পারবেন। এই ল্যাবটি শুধু পোশাক শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষার জন্য।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) উদ্বোধন করা হয় পোশাক শ্রমিকদের জন্য বিজিএমইএ-এর সর্বাধুনিক কোভিড-১৯ পরীক্ষার ল্যাব। গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্ব মালিকপক্ষের পাশাপাশি বিজিএমইএ থাকবে। খুব শিগগিরই সাভার, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে একটি করে ল্যাব স্থাপন করা হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলে মোট চারটি ল্যাব বসবে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
এছাড়া নারী শ্রমিকদের জন্য আলাদা আইসোলেশন সেন্টারও করবে তারা। শ্রমঘন শিল্প হওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকিতে পোশাক শ্রমিকরা। এরই মধ্যে সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জে কিছু শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ঝুঁকি কমাতে যত বেশি সম্ভব শ্রমিকদের পরীক্ষার আওতায় আনতে চায় বিজিএমইএ।
বৃহস্পতিবার ৪ জুন) দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ল্যাবগুলোর উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ'র সভাপতি ড. রুবানা হক। এসময় ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (বাডাস)-এর সভাপতি প্রফেসর ডা. এ. কে. আজাদ খান, বস্ত্রকল-মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) -এর সাবেক সভাপতি মতিন চৌধুরী, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং সালাম মুর্শেদী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, আরও বেশি কারখানার শ্রমিকরা করোনায় আক্রান্তের শঙ্কা করেছিলাম। কিন্তু আমাদের চেয়ে গরিবদের সহ্য ক্ষমতা ও সচেতনতা বেশি। যার ফলে বুধবার রাত পর্যন্ত ২৬৪ জন পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করছে মালিকপক্ষ।
করোনায় ৪২ হাজার কোটি টাকার ধাক্কা খাবে পোশাক খাত বলে জানিয়ে বিজিএমইর সভাপতি বলেন, এ বছর পোশাক খাত থেকে রফতানি আয় হবে ২৩ বিলিয়ন ডলার। তিনি বলেন, করোনায় স্থগিত হওয়া ৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ২৬ ভাগ অর্ডার পুনরায় ফিরে পেয়েছি।
করোনা মোকাবিলায় এখন মানুষ সুস্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে বেশি। পোশাকে নয়। ফলে শতকরা ৫৫ শতাংশ অর্ডার কমে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে ৫৫ ভাগ বিনিয়োগ তুলে নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে তুলে নিয়েছে ২ শতাংশ। করোনার কারণে পোশাক খাতে অনেক ছাঁটাই হবে।