ভারত থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ প্রক্রিয়া বাধামুক্ত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার। বিগত ১০ বছরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ৫.১ বিলিয়ন থেকে ৮.৯ বিলিয়নে উন্নীত হয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশ অনেক জরুরি প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে থাকে। এগুলোর সরবরাহ প্রক্রিয়া বাধামুক্ত থাকা একান্ত প্রয়োজন।
টিপু মুনশি আরও বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান বিভিন্ন জটিলতা দূর করতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। সমস্যা চিহ্নিত হলে তা সমাধান সহজ হবে।
সোমবার (১১ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ‘অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অব ইন্ডিয়া’ আয়োজিত ‘ভিশন মেঘালয়, ভিশন নর্থইস্ট ইন্ডিয়া বাংলাদেশ পার্টনারশিপ’ শীর্ষক ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে যাতে জরুরি পণ্য সরবরাহ চেইনে কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ভারতকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। বেসরকারি সেক্টরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে সরকারের নীতি নির্ধরণী পর্যায়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে এ সময়ে নর্থইস্ট ইন্ডিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যে যাতে কোন প্রভাব না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট অব নর্থ-ইস্ট রিজিওন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং, মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কনরদ কংকাল সাংমা, বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সরিফা খান এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত রিভা গাঙ্গুলি দাস ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।