ঢাকা: বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার কারণে ১৯৭৫ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত (৩৬ বছরে) বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ হয়েছে ৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৮৯ কোটি মার্কিন ডলার।
রোববার (১২ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অর্থনীতি সমিতি আয়োজিত “বঙ্গবন্ধু ‘বেঁচে থাকলে’ বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজ কতদূর যেত?” শীর্ষক অনুষ্ঠানের মূল প্রবদন্ধ উপস্থাপন কালে এ দাবি করেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকতে বাংলাদেশ প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হবে বলে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা এতদিনে বাস্তবায়ন হতো। শূন্য গুদামঘর, যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরে ৮ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত আর কখনও অর্জন করা সম্ভব হয়নি।”
সেমিনারেরর মূল আলোচক ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভণর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী ও অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
সংগঠনটির সহসভাপতি এ জেড এম সালেহ’র সভাপতিত্বে সেমিনার পরিচালনা করেন অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ।
মূল প্রবন্ধে ড. আবুল বারকাত বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সোনার বাংলা গঠনের স্বপ্নকেই হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে ১৯৯৪-৯৫ সালেই মাথাপিঁছু জিডিপিতে মালয়েশিয়াকে ছাড়িয়ে যেতো বাংলাদেশ। তিনি জীবিত থাকলে ২০১১ সালে বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয় দাঁড়াত ৪২ হাজার ৫১৪ কোটি ডলার। ওই সময় মালয়েশিয়ার মোট জাতীয় আয় ১৫ হাজার ৪২৬ কোটি ডলার।
বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে ১৯৭৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত গড়ে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতো জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার কারণে ১৯৭৫ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৩৬ বছরে দেশের অর্থনীতির পুঞ্জিভূত ক্ষতির পরিমাণ ৩ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৯ কোটি ডলার।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন, বাংলাদেশ হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড। তিনি জীবিত থাকলে তাঁর এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতো। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। স্বাধীনতার পর যারা মনে করতো বাংলাদেশ টিকবে না, তারাই এখন বাংলাদেশের উন্নয়নে বিষ্ময় প্রকাশ করছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেঁছনে ফেলেছে, অনেক ক্ষেত্রে ভারত থেকেও এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।