সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া থেকে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী

বিবিধ, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 11:15:27

২০২৪ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসির সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষে ‘উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

ডিজেএফবির সভাপতি এফএইচএম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সদস্য (সচিব) আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বেগম ফাতেমা ইয়াসমিন প্রমুখ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে কাজ শেষ করতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই কাজ করছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরেছেন। আমরা তার নেতৃত্বে ২০৩০ সালে বাংলাদেশকে দরিদ্র মুক্ত করব। ২০৪১ সালের স্বপ্ন পূরণ করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বুদ্ধিজীবীরাও এখন বাংলাদেশের প্রশংসা করছেন। আমি আশা করছি, ২০২৪ সালের মধ্যে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের চেয়ে এগিয়ে যাব। বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে। এই অর্জনগুলো এই দেশের সকল মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।

৯৬ সালে প্রথম বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হয়েছিল। ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি রাখা হয়েছিল কৃষকের জন্য। সেখানে আরও কিছু সামাজিক নেট রাখা হয়েছি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯ সালে এসে এবার তিনি ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশে বসবাস করেন কিন্তু জায়গা জমি নেই এমন সবাইকে জায়গা জমি দেবেন। সবার জন্য বাসস্থান গড়ে তুলব। এটা আমেরিকা ও গোটা ইউরোপে সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন এবং তিনি এটা দেখভাল করবেন।’

ডিজেএফবি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আপনারা অত্যন্ত দক্ষ, দীর্ঘদিন আপনাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে আমার। আপনাদের এ যাত্রাশুভ হবে। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের সংগঠন অনেক সুন্দরভাবে কাজ করুক। দেশের মানুষকে বিকশিত করুক। এটাই আমাদের দোয়া।’

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘তৃণমূলে ৭০-৮০ ভাগ মানুষ যারা বসবাস করেন, তারা উন্নয়ন চান।’

ডিজেএফবি সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করুন। আমার পক্ষ থেকে সম্পূর্ণরূপে সাহায্য-সমর্থন পাবেন। আমরা সবাই চাই, তথ্যপ্রবাহ অবাধ হোক। এতে আমাদের লাভ, শুধু আপনাদের লাভ না। আপনারা যে কদিন আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন, আমি বলছি, সম্পূর্ণ শতভাগ অবাধ সহযোগিতা দেওয়া হবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য সুশান্ত সিনহা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক মো. সাইফুল আলম ও এএফপির বাংলাদেশের ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম।

এ সম্পর্কিত আরও খবর