ঢাকা শেরেবাংলা নগরে আয়োজিত ২৫তম বাণিজ্য মেলার শেষদিনে জমে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ। আর কিছু সময় পর এ বছরের মতো শেষ হতে যাচ্ছে বাণিজ্য মেলার আসর। শেষ মুহূর্তের কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই বিক্রেতা আর দর্শনার্থীদের ভিড়ে কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। শেষ মুহূর্তে স্টলগুলোতে চলছে বিভিন্ন অফারের ছড়াছড়ি।
সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় বাড়তে থাকে। খাবার, গৃহস্থালি পণ্য, কসমেটিকস, কাপড় থেকে শুরু করে প্রতিটি স্টলে পা ফেলার জায়গা নেই। রাজধানীর ফুটপাত মার্কেটের মতো ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে চলছে আখেরি অফার। ক্রেতা থেকে দর্শনার্থী সকলের হাতে ছোট-বড় ব্যাগ। শেষ সময়ে অফারে পছন্দের জিনিসটি কিনতে ক্রেতাদের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো।
মেলায় ১০০-৩০০ টাকা মূল্যের পণ্যের প্রতি দর্শনার্থীদের আগ্রহ বেশি। গৃহস্থালি পণ্য থেকে শুরু করে জুতা, ব্যাগ, কসমেটিকসের বিভিন্ন পণ্য ক্রেতা ডেকে বিক্রি করা হচ্ছে। এ সুযোগ হাত ছাড়া করেননি খাবারের স্টলগুলোও।
ক্লারিস কসমেটিকসের স্টলের সামনে ১০০ টাকায় পারফিউম কিনতে দর্শনার্থীরা হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা গেছে। এদিকে ফরেন প্যাভিলিয়নের সামনে গৃহস্থালী পণ্য ১০০ টাকা মূল্যে ডেকে ডেকে বিক্রি করছেন বিক্রয়কর্মীরা।
ক্লারিস বিক্রয়কর্মী সুমন বলেন, শেষ মুহূর্তে আমাদের এই অফার দেয়া হচ্ছে। বিক্রি করে কুলিয়ে উঠতে পারছিনা।
আগারগাঁও থেকে আসা শফিকুল বলেন, বাইরের তুলনায় কম মূল্যে পেয়েছি তাই কেনার চেষ্টা করেছি। তবে বেশি দামি জিনিস নয় সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনছি।
এদিকে শেষ মুহূর্তেও মেলায় ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের অস্থায়ী অফিসে আসছে বিভিন্ন অভিযোগ। আর সেগুলো মৌখিকভাবে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করছেন ভোক্তা অধিদফতর।
ভোক্তা অধিকার অধিদফতর মেলার শুরু থেকে এ পর্যন্ত অভিযানের ভিত্তিতে এবং লিখিত অভিযোগে ২৭টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ১ লাখ ৩ হাজার টাকা। অনেক অভিযোগ মৌখিকভাবে ও নিষ্পত্তি করেছেন ভোক্তা অধিদফতর।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদফতর অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, গত বছরগুলোর তুলনায় এবার অভিযোগ অনেক কম। ব্যবসায়ীরা কিছুটা সচেতন হয়েছে। আমরা তাদেরকে আগে থেকেই লিফলেট দিয়েছি কোনোভাবেই ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ন করা যাবে না। সেই কারণেই মেলার শুরু থেকে এই শেষ অবধি খুব বেশি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করতে হয়নি।
মেলার সার্বিক বিষয়ে ইপিবির সদস্য সচিব আব্দুর রউফ বলেন, মেলার শুরু থেকেই আমরা বিভিন্ন বিষয় কড়া নজরদারিতে রেখেছি। যেমন হকার, ভিক্ষুকরা যেন কোনোভাবেই মেলায় প্রবেশ করতে না পারে। এর ফলে দর্শনার্থীরা নির্বিঘ্নে মেলা উপভোগ করেছে। মেলা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আমাদের কর্মীরা সবসময় তৎপর ছিলেন।