রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শুরু হওয়া মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) ২০২০ দ্বিতীয় দিনেও চলছে স্টল নির্মাণের কাজ। ক্রেতাশূন্য মেলায় বেশিরভাগ স্টলে শেষ মুহূর্তের টুকিটাকি কাজ গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত স্টল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে মেলা ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে। নতুন রূপে সাজানো হয়েছে এবারের মেলা। জাতীয় স্মৃতি সৌধের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে মেলার মূল গেট।
মেলার মূল ফটক দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়বে বড় বড় প্যাভিলিয়ন। এসব প্যাভিলিয়ন ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে। এখন চলছে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। বিশেষ করে শেষ মুহূর্তে প্যাভিলিয়নের সামনে কার্পেটিং করা, ফুল গাছ লাগানো এবং ইলেকট্রিক লাইনের কাজ চলছে পুরোদমে।
তবে মেলার ছোট স্টলগুলো এখনও গুছিয়ে উঠতে পারেনি। এসব স্টল মালিকেরা এখনও অবকাঠামো তৈরি করছে। মেলায় আগত ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের কানে আসছে কাঠ ও হাতুড়ির ঠক ঠক আওয়াজ।
স্টল নির্মাতা মো. আবেদ আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্টল নির্মাণের জায়গা নিয়ে একটু সমস্যা হওয়ার কারণে মেলার দ্বিতীয় দিনেও কাজ শেষ করে উঠতে পারিনি। তবে আশা করছি আজকের মধ্যেই আমাদের স্টল নির্মাণ করা হয়ে যাবে। বেশিরভাগ স্টল প্রস্তুত না হওয়ায় মেলায় দর্শনার্থী সমাগম বাড়েনি।
কিয়াম প্যাভিলিয়নের সেলসম্যান মোহাম্মদ জাকারিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখনো মেলা জমে ওঠেনি। তবে ক্রেতারা আসছেন জিনিসপত্র দেখছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থী আরো বাড়বে এবং আগামী দু-একদিনের মধ্যে মেলা জমজমাট হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন- বাণিজ্য মেলার প্রথম দিন
মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থী সিমা আক্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আমরা তিন বন্ধু মেলায় ঘুরতে এসেছি। যেহেতু এখন মেলা শুরু তাই ভিড় কম। এজন্য আমরা মেলায় ঘুরতে এসেছি। এখনো মেলার বেশিরভাগ স্টল প্রস্তুত হয়নি।
উল্লেখ্য, মেলায় বাংলাদেশসহ ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৮৩টি স্টল থাকছে। স্টলের মধ্যে রয়েছে ১১২টি প্যাভেলিয়ন, ১২৮টি মিনি প্যাভেলিয়ন এবং ২৪৩টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়নকে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রবেশ টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ৪০ টাকা (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মোট টিকিটের ২৫ শতাংশ অনলাইনে পাওয়া যাবে।
এছাড়া যানবাহন পার্কিংসহ মেলায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। রয়েছে ২টি মা ও শিশুকেন্দ্র, শিশুপাক,ই-পার্ক এবং ব্যাংকের পর্যাপ্ত এটিএম বুথ।
আরও পড়ুন- ৬৭ স্টল কম নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু