বিটিআরসির কাছে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ৩০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার দাবি জানিয়েছে গ্রামীণ ফোন। শনিবার (৬ জুলাই) এজন্য বিটিআরসির কাছে আবেদনও করা হয়েছে।
রোববার(৭ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলেনে এ দাবি করেন প্রতিষ্ঠানের সিইও মাইকেল ফোলি।
তিনি বলেন, ‘অমীমাংসিত পাওনা আদায়ে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সীমিত করা বেআইনি ও অযৌক্তিক। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
ফোলি বলেন, ‘বিটিআরসির পাওনা টাকার সমস্যা সমাধান আরবিটেশন অ্যাক্ট এর মাধ্যমে চাই। কারণ আদালতে গেলে অনেক সময় নষ্ট হয়।’
জিপির কাছে বিটিআরসির পাওনা প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা এই দাবি বৈধ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সরাসরি কোনো উত্তর দেয়নি জিপির কর্মকর্তারা।
বরং সংবাদে সম্মেলনে হোসেন সাদাত বলছেন, বিটিআরসি যে সব প্রিন্সিপাল দেখিয়ে ১২ হাজার কোটি টাকা দাবি তুলেছে তা যৌক্তিক না। আমরা আলোচনা করে সেই প্রিন্সিপালগুলো ঠিক করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণফোনকে দু সপ্তাহের সময় দিয়ে বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য চিঠি দেয় বিটিআরসি। কিন্তু গ্রামীনফোন কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি। দীর্ঘসময় অপেক্ষা শেষে বিটিআরসি ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।