তিন দিনব্যাপী ‘স্বর্ণ মেলা-২০১৯'র প্রথমদিনে ২৫ কোটি টাকার স্বর্ণ বৈধ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
রোববার (২৩ জুন) মেলার প্রথম দিন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সভাপতি গঙ্গা চরণ মালাকার, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাসহ বেশ কিছু ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান পক্ষ থেকে অবৈধ সোনা ভরি প্রতি এক হাজার টাকা কর দিয়ে বৈধ করা হয়েছে।
বিষটি নিশ্চিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কর ও প্রশাসন) কানন কুমার রায়। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'মেলায় ব্যবসায়ীদের সাড়া পেয়েছি। প্রথমদিন ব্যবসায়ীরা কর দিতে নয়, বুঝতে এসেছেন। অনেকে ফরম নিয়েছেন। আগামী দুদিন প্রত্যাশা অনুসারে মেলায় কর দেবেন ব্যবসায়ীরা।'
২৩ জুন শুরু হওয়া এ মেলা চলবে মঙ্গলবার (২৫ জুন) পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মেলা চলবে। এনবিআর ও বাজুসের যৌথভাবে আয়োজিত মেলায় ৪০০ কোটি টাকা হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোনা বৈধ করার দর নিয়ে দ্বিধায় ব্যবসায়ীরা
উল্লেখ্য, রোববার সকালে মেলার উদ্বোধন করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, 'তৈরি পোশাক ও চামড়া শিল্পের মতো যারা স্বর্ণের কাঁচামাল রফতানির উদ্দেশে আমদানি করবেন, তাদের বন্ড সুবিধা দেওয়া হবে।'
এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, 'যারা বন্ড সুবিধা পাবেন, তাদের আমদানি করা সব স্বর্ণ রফতানি করতে হবে। বন্ড সুবিধায় আনা স্বর্ণ খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে না।'
সাধারণ মানুষ বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম স্বর্ণ আমদানি করতে পারবেন। এর চেয়ে এক গ্রামও বেশি আনলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। তবে ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে স্বর্ণালঙ্কার আমদানি করতে পারবে না বলে জানান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
কানন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাজুস সভাপতি গঙ্গা চরণ মালাকার, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাসহ স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও রাজস্ব কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।