স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে দূর-দূরান্তে যাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। কেউ কেউ যাত্রা পথেই সেরে ফেলছেন টুকিটাকি প্রয়োজনীয় কেনাকাটা।
সোমবার (০৩জুন) রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঈদ যাত্রার আগে টুকিটাকি প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে দেখা যায় ঘরমুখো মানুষদের।
বাস টার্মিনালে যাত্রীদের কেউ জুতার হকারদের কাছে যাচ্ছেন, কেউ ঘড়ি, চশমা, কেউ বা কাপড়ের দোকানে। মোবাইল চার্জার, হেড ফোন , কিংবা ব্যাক কভার নিয়ে বসে থাকা হকারদেরও কদর অনেক।
তবে খেলনার দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনাও ছিল চোখে পড়ার মতো। বাড়ি ফেরার পথে সামান্য অবসরে বাচ্চাদের জন্য খেলনা দেখছেন অনেকেই। পছন্দ হলে দাম হাঁকিয়ে কিনছেন তারা।
বাড়িতে চার বছরের বাচ্চার জন্য খেলনা হেলিকাপ্টার কিনেছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রায় চার মাস পর বাড়িতে যাবো, বাচ্চা আছে পথ চেয়ে। ঈদে তার জন্য নতুন জামা কিনেছি। কিন্তু এ খেলনাটা হাতে পেলে তার খুশির সীমা বেড়ে যাবে। আসলে বাচ্চাটা হাসতে দেখলে বা খুশি হয়েছে দেখলে তৃপ্তি পাই।
গাবতলী টার্মিনালে ওয়ালেট কিনেছেন নাঈম খান। তিনি বলেন, বাসার জন্য ঈদের কেনাকাটা সব করেছি। কিন্তু আমার নিজের একটা মানিব্যাগ দরকার ছিল। কেনার সময় পাই নি। এখানে এসে টিকিট নিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় আছে হাতে। তাই সেরে ফেললাম মানিব্যাগের প্রয়োজনটা।
বাদশা নামের এক হকারের কাছে জুতা দেখছিলেন তরিকুল নামের এক যাত্রী। তিনি বার্তা২৪ কে জানান, অনেকটা সময় আছে হাতে। দেখছি কিছু পছন্দ হয় কিনা। পছন্দ হলে কিনব।
জুতার হকার বাদশা বলেন, চার পাঁচ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করি। ঈদ কেন্দ্রিক আমাদের বেচাকেনা কিছুটা বাড়ে। তবে খুব বেশি হয় তা না। যা হয়, চলে যায়।
ঈদে বাড়ি যাবে কিনা জানতে চাইলে বাদশা বলেন, আমরা ব্যবসা করি। আমাদের ক্রেতা দূর দূরন্তের যাত্রীরা। ঈদের আগে বাড়ি গেলে বিক্রি বন্ধ রেখে যেতে হবে। ঈদের পরে এজন্য বাড়িতে যাই।