ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসা করা যাবে না

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 12:33:01

আসছে বাজেটের পর ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া কোন ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া।

বুধবার (৯ এপ্রিল) এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনায় সভাপতিত্বের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'নিবন্ধনের পর খাত ভিত্তিক ভ্যাটের হার নির্ধারণ করা হবে। যারা রিবেট পাবেন তাদের হার ১৫ শতাংশ হবে। অন্যদের জন্য আদায়যোগ্য সহনীয় মাত্রায় ভ্যাটের হার নির্ধারণ করা হবে।'

প্রাক-বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ পেপারস মিল এসোসিয়েশন, রেস্তোরা মালিক সমিতি, হাইজিন পণ্য প্রস্তুতকারক সমিতি, বায়রা, কুরিয়ার সার্ভিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, মানি চেঞ্জার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এ সময় এনবিআরে সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রেস্তোরা মালিক সমিতির মহাসচিব রেজাউল করিম এক প্রস্তাবনায় বলেছিলেন, 'সব রেস্তোরা এক বিবেচনায় নেয়ার কারণে দেশীয় ছোট আকারের রেস্তোরার জন্য ১৫ শতাংশ ভ্যাটা আদায় করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।'

জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, 'একেবারে ছোট রেস্তোরা বাদে সব ধরনের রেস্তোরার জন্য ভ্যাট বাধ্যতামূলক। তবে আন্তর্জাতিক মানের যে সব রেস্তোরা রয়েছে সেগুলোর ভ্যাট ১৫ শতাংশই থাকবে। এছাড়া দেশীয় মাঝারি আকারের রেস্তোরার ভ্যাটের হার যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হবে।'

তিনি বলেন, 'আগামী বাজেটে আয়কর সুষম করা চেষ্টা করব। শিল্পায়নকে গুরুত্ব দিয়ে আমদানি শুল্ক ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছি। তবে কিছু কিছু খাতে দীর্ঘদিন প্রণোদনা দিলেও তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে না। প্রণোদনা দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকলে বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে না। এ জন্য দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় দেয়া প্রণোদনার মেয়াদ ও সুবিধা নির্দিষ্ট করা হবে।'

বাংলাদেশ পেপারস মিল এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, 'দেশে প্রায় ১০৫টি পেপার মিল থেকে উৎপাদিত কাগজ দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে রফতানিও করছি। তবে কাঁচামাল আমদানিতে আমরা কোন সুবিধা পাচ্ছি না। অন্যদিকে বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাগজ খোলা বাজারে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানির ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসের কারণে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছি না।' এ সময় তিনি ভ্যাট হার কমানো ও ট্যারিফ ভ্যালু উঠিয়ে দেয়ার দাবিও জানান।

দাবির প্রেক্ষিতে মোশারফ হোসেন বলেন, 'বন্ডের অপব্যবহার কঠোর হাতে দমন করছি। অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা বন্ড সুবিধায় আমদানি করা কাগজ বন্দর থেকে সরাসরি খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন কুরিয়ার কোম্পানি ৯০ শতাংশ চিঠি পত্র গ্রাহকের কাছে পৌঁছে না। তাদের অফিসে এসে নিতে হয়। এর পরিবর্তন জরুরি।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর