আসছে বাজেটে বিড়ি, সিগারেট এবং তামাক পণ্য যেমন জর্দা ও গুলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জানিয়েছে অ্যান্ট টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)।
রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সংগঠনের কো-কনভেনার নাদিরা কিরন। এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে নাদিরা কিরন বলেন, ‘২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্য আসছে বাজেটে। সিগারেটের স্তর চারটি থেকে কমিয়ে ২টি (নিম্ন ও উচ্চ) করে যথাক্রমে ৬০ ও ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার পাশাপাশি সকল ১০ শলাকা (পিস) সিগারেটের ৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করছি।
বিড়ির ফিল্টার এবং নন ফিল্টার মূল্য বিভাজন তুলে দিয়ে প্রতি ২৫ শলাকা বিড়িতে ৬ টাকা এবং ২০ শলাকা বিড়ির দাম ৪ দশমিক ৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করছি।’
পাশাপাশি ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের (জর্দা ও গুল) ট্যারিফ বাদ দিয়ে বিড়ি ও সিগারেটের মতই প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার মূল্য ২০ টাকা এবং ১০ গ্রাম মূল্যের গুলের ওপর ৩টাকা সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করছি।
এছাড়াও সকল তামাক পণ্য খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে কর আরোপ করা এবং তামাকপণ্যের ওপর থাকা ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ৪৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স বহাল রাখাসহ ১০ দফা সুপারিশ জানানো হয়।
সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা রয়েছে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার, সুতরাং তামাকের ব্যাপারে আমরা আপোষহীন।’
তিনি বলেন, ‘যদিও এই খাত থেকে প্রচুর রেভিনিউ আসছে। তারপরও আমরা এই বিষয়ে কোন ছাড় দেব না। গত বাজেটে তরুণ, নারী এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় আপনাদের প্রস্তাবে বিড়ি ও সিগারেটের দাম বাড়িয়েছি।'
সরকারও এ খাত থেকে আগের চেয়ে বেশি রাজস্ব পেয়েছে। তবে দাম কম থাকায় এখন বিদেশ থেকে আমদানি করছে। নতুন করে ভুয়া কোম্পানির মাধ্যমে ব্যবসা করে যাচ্ছে। কর ফাঁকি দিচ্ছে। আর সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তামাক পণ্য যাতে দেশে বিক্রি কম যায় তার জন্য বিদেশে রফতানিতে প্রণোদনা দেবো।’