কমেছে শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম, জনমনে স্বস্তি

, অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-08-16 12:08:54

স্বৈরাচার সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে স্বস্তি মিলেছে জনজীবনে। সরকার পরিবর্তনের কারণে সড়ক-মহাসড়কে দিতে হচ্ছে না কোনো চাঁদা। ফলে কমতে শুরু করেছে শাক-সবজিসহ বিভিন্ন নিত্য পণ্যের দাম। বাজারে ফিরে এসেছে স্থিতিশীলতা। এমনটাই জানিয়েছেন বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট ও মিরপুর কাঁচাবাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাঁচা শাক-সবজির মধ্যে পুঁইশাক প্রতি মুঠো ২৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, বেগুন প্রকারভেদে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কুমড়া ৫০ টাকা ও ফুলকপি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

এছাড়াও মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, কৈ মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, সরপুঁটি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা ও তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা, পেয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা, রসুন ২১০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে মাছ মাংসের দাম এখনো কিছুটা বাড়তি। গরুর মাংস ৭৫০/৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা কম ব্রয়লার মুরগীর দাম। শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৬৫/১৭০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগী ২৯০, সোনালী মুরগী ২৪০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার পতনের অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে স্থিতিশীল হচ্ছে বাজার। সেই সাথে পণ্যের সরবরাহও বাড়ছে। বাজারে দাম কমেছে সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের। এছাড়াও সড়ক-মহাসড়কগুলোতে কোনো চাঁদা দিতে হচ্ছে না।

ক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে দাম কিছুটা কম। বাজারে বেশি শাক-সবজি আসার কারণে দাম কমেছে।

বাজার করতে আসা মো. হান্নান নামের একজন ক্রেতা বলেন, এই সপ্তাহে দাম কিছুটা কমই মনে হচ্ছে। টমেটো ও গাজরের দামও কমেছে। পটল, কাকরোল, চিচিঙ্গা, কলমি শাক, পুঁইশাকের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ থেকে ১০ টাকা করে কমেছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হাফিজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, মাছের দাম এখনো অনেক বেশি। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম কিছুটা কম মনে হচ্ছে। ছাত্রদের বাজার মনিটরিং কর্মসূচির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের পর বাজারে প্রভাব পরতে শুরু করেছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার প্রতি আরও জোর দেয়ার দাবি তার।

এদিকে আলু ব্যবসায়ী কামাল বলেন, আলুর দাম এখনো কমেনি। তবে রাস্তায় আগে যে চাঁদাবাজি ছিলো তা এখন নেই। তাই কিছুটা স্বস্তিতে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছি। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম কমবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর