ভবনের অ্যাকটিভ ডিজাইন বুমেরাং হয়েছে: নসরুল হামিদ

, অর্থনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-05-16 20:35:04

ষাটের দশকে আমাদের স্থাপত্যবিদরা পথ দেখিয়ে গেছেন কিন্তু আমরা মাঝখানে পথ হারিয়ে ফেললাম। সঠিক পথ ফেলে ভবনের অ্যাকটিভ ডিজাইন বুমেরাং হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় আগারগাঁও আইএবি সেন্টারে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) মাস্টার কন্ট্রোল সেন্টারের ডিজাইন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববদ্যালয়ের দিকে তাকায়, দেখেন তখন তারা চিন্তা করেছিলেন। অনেক দেশেই তখন বিষয়গুলো চিন্তায় করেনি। আমরা সেখান থেকে অ্যাকটিভ ডিজাইনে গেলাম, এগুলো কস্ট ইফেক্টিভ হচ্ছে না। যারা ভালো কাজ করতে চায় তাদের টিকে থাকা কঠিন।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে বেশ দক্ষ লোকজন থাকেন তাদের বক্সের মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। তারা চেঞ্জ চাচ্ছে এটাই বড় বিষয়। আমরা তরুণদের নিয়ে একটি টিম করছি, আমাদের ভবনগুলো যেন ভবিষ্যৎ চিন্তা ও ব্যবহারকারী বান্ধব হয়। আমরা স্থাপত্যবিদদের দিয়ে তিতাসের ভবন করছি, ডেসকোর ভবন করছি। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। প্রতিযোগিতা হলো নতুনদের ধ্যানধারণা পেলাম, তাদেরও একটা আইডিয়া হলো বড় পরিসরে কাজ করার।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিযোগিতায় ৮২টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়। সেখান থেকে ধাপে ধাপে চূড়ান্ত করা হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ ছিল। আমরা পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলছি। আমরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিন্তু আমরা দায়ী না। অনেকে প্রশ্ন করেন আমরা কি করছি, কেন এখনও কয়লা ব্যবহার করছি। আমরা ক্লিন এনার্জির দিকে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ গত ১৪ বছর ধরে এডিপি বাস্তবায়নে এক নম্বর থাকে, প্রথম বিদ্যুৎ বিভাগকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, নেসকোর মাস্টার কন্ট্রোল সেন্টারের ডিজাইন প্রতিযোগিতার বিষয়টি ব্যতিক্রম উদ্যোগ। আমি মনে করি এর মাধ্যমে আইএবির সঙ্গে নতুন ডোর উন্মোচিত হবে। আমরা মনে করি হতাশ হতে হবে না। ভবনকে যদি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করতে পারি, তাহলে বিশাল অগ্রগতি হবে।

তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমি তখন অর্থমন্ত্রণালয়ে তখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভবন করা হবে। আমরা বলেছিলাম যত টাকা লাগুক খরচ করতে রাজি আছি। ভবন গ্রিন হতে হবে, অনেক টাকা ব্যয় করেছি, তবে নান্দনিকও হয়নি, জ্বালানি সাশ্রয়ীও হয়নি।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা এনার্জি সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করছি। নেসকোর মাস্টার কন্ট্রোল সেন্টারে সেই ধারাবাহিকতা অংশ।

নেসকো বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুম আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল আধুনিকতম ভবনের সঙ্গে বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করা। আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোগ এক সময় আন্দোলনে রূপান্তর হবে বলে আশা করি।

আইএবির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, এক সময়ের নাজুক বিদ্যুৎ বিভাগ এখন স্থাপত্য বিভাগের প্রধান পৃষ্টপোষক হয়ে উঠেছে। ডিজাইন প্রসঙ্গে বলেন, এখানে প্যাসিভ ডিজাইন করা হয়েছে, কনভেনশনাল জ্বালানির চেয়ে প্রাকৃতিক উৎসের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম। তিনি বলেন, নেসকো সব ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করা।

নেসকো রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর