‘বাংলাদেশের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সব বিদেশিদের সৃষ্ট’

বিদ্যুৎ-জ্বালানী, অর্থনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-05-09 12:52:58

আজকে বাংলাদেশের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তার কোনোটাই আমাদের দ্বারা সৃষ্ট নই। ডলার সংকট থেকে শুরু করে সব সংকটের জন্য বিদেশিরা দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) পেট্রোসেন্টারে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর (জিএসবি) আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। টেকসই উন্নয়নের জন্য জিওলজি শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিএসবির মহাপরিচালক তাহমিনা ইয়াসমিন।

ড তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী আরও বলেন, পশ্চিমারা যুদ্ধবিগ্রহ শুরু করে এখন এসে বুদ্ধি দিচ্ছেন কীভাবে অর্থনীতি চালাতে হবে। ওয়াশিংটন থেকে এসে বুদ্ধি দেয়, অনেক সময় গ্রহণ করতে হয়। সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ তারা যেন প্রকৃত কারণ তুলে ধরেন।

সেমিনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একদিকে যেমন জ্ঞানের জগৎ রয়েছে অন্যদিকে বাস্তবতা রয়েছে। জ্ঞান ও তথ্য ভিত্তিক সুপারিশ দেন, তাতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। পৃথিবী যেদিকে যাচ্ছে, অনেক জিনিস অপ্রয়োজনীয় হয়ে যাবে। নতুন যেগুলো প্রযুক্তি আসছে সেগুলো আপনারা ধারণ করবেন। সময়ে সময়ে সুপারিশ দেবেন।

জিএসবির আবিস্কৃত খনিজ সম্পদের ওপর জিএসবির জন্য রয়্যালিটি নির্ধারণ করতে পারি। যাতে করে অর্থের সংস্থান নিশ্চিত হতে পারে বলে মনে করেন তৌফিক ই ইলাহী।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আজকে বিশ্বে যারা উন্নত হয়েছে সবাই খনিজ সম্পদের ওপর নির্ভর করে। আমাদের যতটুকু সম্পদ রয়েছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বিজ্ঞানীরা অনেকে নিরবে কাজ করেন, কিন্তু সেগুলো পরে আর আমাদের পর্যন্ত সেভাবে আসে না। আপনারা রিপোর্ট করে নিয়ে বসে থাকেন। কিছু রিপোর্ট প্রকাশ করে দেন।

একটা বিভাগ আবিষ্কার করছে, আরেক বিভাগ লাইসেন্স দিচ্ছে আরেকটি বিভাগ ব্যবসা করছে। তাহলে তো আবিষ্কারের জন্য আমাদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে। আপনারা কি চান সেটাতো আপনাদের দিক থেকে প্রস্তাবনা আসতে হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অনেক সময় গেছে এখন আর বসে থাকার সুযোগ নেই। দেশের খনিজ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জিএসবিকে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করতে হবে। এসব প্রস্তাব আপনাদের দিক থেকে প্রস্তাবনা আসা উচিত।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আলম বলেন, তাত্ত্বিক বিষয় আলোচনা করলে হবে না। তাত্ত্বিক দিকের পাশাপাশি প্রায়োগিক বিষয় যুক্ত থাকতে হবে। প্রকল্পটি কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে সফল হবে তার দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। তাহলেই আর্থিকভাবে সফল প্রকল্প গ্রহণ করা সম্ভব হবে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, জিএসবিকে আরও শক্তিশালী করা দরকার, একইসঙ্গে বাপেক্সসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় থাকা দরকার। বাপেক্স যেখানে কূপ খনন করছে সেখান থেকে নমুনা নিয়ে তারা কাজ করতে পারে। এতে করে আলাদা করে কূপ খননের বাড়তি টাকার প্রয়োজন হবে না। সময়ও সাশ্রয় হবে।

জিএসবির পরিচালক আব্দুল আজিজ পাটোয়ারী বলেন, জিএসবি আবিষ্কৃত খনিজ সম্পদের মোট আর্থিক মূল্য ২৪৮ ট্রিলিয়ন টাকার বেশি। যমুনা নদীর বালিতে উন্নতমানের খনিজ পদার্থ আবিষ্কার করা হয়েছে। এসব খনিজ উপাদানের বিষয়ে দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর