আধুনিকতার ছোঁয়ায় থাকছে ডুপ্লেক্স ও কনডোমিনিয়াম
ইউএস-বাংলা গ্রুপ সূচনালগ্ন থেকেই মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। এ গ্রুপের যাত্রা শুরু হয়েছে ২০০৯ সালে। প্রায় ১৭ কোটি জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র প্রত্যেকটি মৌলিক চাহিদাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ইউএস-বাংলা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইউএস-বাংলা গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউএস-বাংলা এসেটস্, গ্রীণ ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ইউএস-বাংলা লেদার প্রডাক্টস্, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, ইউএসবি এক্সপ্রেস, ইউএস-বাংলা হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ফুটওয়্যার ব্যান্ড ভাইব্রেন্টসহ আরো নানাবিধ প্রতিষ্ঠান।
ইউএস-বাংলা এসেটস্ ঢাকার অতি সন্নিকটে পূর্বাচলে গড়ে তুলেছে পূর্বাচল আমেরিকান সিটি। যা, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের দূরত্ব। এ প্রকল্প এমনভাবে পরিকল্পিত, যেভাবে একজন সচেতন ও আধুনিক চিন্তা-চেতনা ধারণ করা রুচিশীল নাগরিক স্বপ্নঘেরা একটি নান্দনিক শহর কল্পনা করেন। আধুনিক শহরের সকল সৌন্দর্য্য আর চাহিদার অপূর্ব মিলনমেলার সংমিশ্রণ থাকছে এ প্রকল্পে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সুখ স্বাচ্ছন্দে নিরাপদ বাসস্থান মানুষের যুগ যুগান্তরের চাওয়া। জনবহুল রাজধানী ঢাকায় সুখের নীড় গড়তে প্রয়োজন একখন্ড নিষ্কন্টক জমি। সকলেই চায় নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যানজট, শব্দদূষণ, গাড়ীর কালোধোঁয়ার ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত স্নিগ্ধ নিরিবিলি, সুস্থ স্বাভাবিক শান্তির নীড়। “পূর্বাচল আমেরিকান সিটি” একটি নাম, একটি বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক। আর এই বিশ্বাস, আন্তরিকতা ও প্রতিশ্রুতিকে পুঁজি করেই এ প্রকল্পের যাত্রা শুরু।
পূর্বাচল আমেরিকান সিটি প্রকল্প বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে যা গ্রাহকদের চাহিদাকেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে হার মানিয়ে এগিয়ে চলেছে। উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৬৪ ফুট প্রশস্থ রাস্তা, ১৫০ ফুট প্রশস্থ লেক, থাকবে লেক সাইট পার্ক, ১২ ফুট গ্রিন জোন, ১০ ফুট ওয়াক-ওয়ে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য প্রকৌশলদের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে উন্নত ট্রাফিক সিস্টেম-যেখানে কোনো সিগনাল থাকবে না, আধুনিক ড্রেনেজ সিস্টেম, রিকসা ফ্রি সিটি কিন্তু থাকবে ইলেকট্রিক ভেহিকেলস।
প্রকল্পের চাহিদা অনুযায়ী থাকবে- ৮০০ বেডের আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল, ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড বোর্ডিং স্কুল এন্ড কলেজ, থাকবে বাংলা মিডিয়াম, ইংলিশ মিডিয়াম, ইংলিশ ভার্সন স্কুল, সার্বক্ষণিক সার্ভিলেন্স টিম, এমিউজমেন্ট পার্ক, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, ইনডোর স্পোর্টস ফ্যাসিলিটিস যেখানে থাকবে রুম ফ্যাসিলিটি, সেমিনার এন্ড সিম্পজিয়াম ইত্যাদি সুবিধা, আউটডোর প্লে গ্রাউন্ড, হেলিপোর্ট।
একটি আবাসন প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করার প্রয়াসে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে থাকছে-আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টার, ফাইভ স্টার হোটেল, ট্রেড সেন্টার, সুপার শপ, সেন্ট্রাল মসজিদ, নিজস্ব পাওয়ার স্টেশন, ট্রিপল ওয়ান সিস্টেম স্পেশাল নাম্বার। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি আধুনিক আবাসন প্রকল্পে এই প্রথম একই সঙ্গে ডুপ্লেক্স জোন ও নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্যে পরিপূর্ণ কনডোমিনিয়াম যা উন্নত বিশে^র আদলে তৈরী করা হবে।
ইতিমধ্যে গ্রীন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অত্যাধুনিক নির্মানশৈলী বিশিষ্ট ৬(ছয়) তলা প্রশাসনিক ভবন, দু’টি একাডেমিক ভবন এর নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব শীঘ্রই পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল এর নির্মান কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। এছাড়া ইউএস-বাংলা গ্রুপের প্রধান কার্যালয় এর স্থায়ী ঠিকানা হবে পূর্বাচল আমেরিকান সিটি।
সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় ইউএস-বাংলা গ্রুপ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। বর্তমানে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির বিভিন্ন ব্লকে বাউন্ডারি ওয়াল সহ আবাসিক/ কমার্শিয়াল/ হাসপাতাল/ ইন্সটিটিউশন/শপিং কমপ্লেক্স/কনভেনশন সেন্টার/ ব্যাংক/ কর্পোরেট অফিসের জন্য রেডি প্লট এককালীন মূল্য/ কিস্তিতে বিক্রয় চলছে। মূল্য পরিশোধের সাথে সাথেই রেজিস্ট্রেশন ও হস্তান্তর এর সুযোগ থাকছে।