বাম্পার ফলনে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৮৬ শতাংশ রাখা যাবে

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | 2023-08-30 06:09:08

 

আগামী অর্থ বছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ শতাংশ। সরকার আশা করছে, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে দেশে বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি কমবে না। ফলে জিডিপির প্রাক্কলিত চলতি প্রবৃদ্ধি ৭.৮৬ শতাংশ ধরে রাখা সম্ভব হবে। তবে উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ ছাড়ে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কাও রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফিসকাল কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিল ও বাজেটের সম্পদ কমিটির বৈঠকে এসব মতামত তুলে ধরা হয়। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে ফিসকাল কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিলের সদস্যরা বলেন, চলতি হিসাবে ঘাটতির কারণে দেশের পণ্যের মূল্য সূচকের ওপর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ইতিবাচক চিত্র উঠে এসেছে। চলতি অর্থ বছরে সরকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭.৮৬ শতাংশ ধরে রাখতে পারবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে আগামী জানুয়ারি কমানো হতে পারে। অবৈধভাবে যাতে কেউ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে না পারে সেজন্য সবার বিনিয়োগ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে প্রথম তিন মাসে দেশের চলতি হিসেবে ঘাটতি রয়েছে এক হাজার ৩৮৫ মিলিয়ন ডলার। গত অর্থ বছরে ছিল ৯.৭৮ বিলিয়ন ডলার। এভাবে ঘাটতি বাড়তে থাকলে মূল্যস্ফীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ ছাড়ের পরিমাণ কমে যাওয়া বাজেটে ঘাটতি না হয়ে চার হাজার কোটি টাকা উদ্বৃত্ত হয়েছে।

বৈঠকে আরো আলোচনা করা হয়, ব্যাংকের ঋণপত্র খোলার হার চলতি অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। কারণ নির্বাচনের অনিশ্চিয়তা এবং দেশের বাম্পার ফলনের আশায় ব্যবসায়ীরা নতুন করে আর এলসি খুলতে চাচ্ছেন না ।

বৈঠকে চলতি অর্থ বছরে চলতি হিসেবে বিশাল ঘাটতি সত্ত্বেও আগামী অর্থ বছরে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫.৬ শতাংশ ও চলতি বছর অর্থ বছরে ৫.৭ শতাংশ। কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে আগামী অর্থ বছরে ব্যাংকের ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৬.৭ শতাংশ কিন্তু বর্তমানে এ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে মাত্র ১৪.৬৭ শতাংশ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর